সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কুষ্টিয়া জেলায় সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত, দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা কুষ্টিয়া।। বিডি নিউজ.ইন।। BD News.in


অধরা ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে।  লকডাউনেও থামছে না মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘন্টায় ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। গত ২৪ ঘন্টায় ৯জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৩০জুন) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।জেলায় এখন পর্যন্ত ৮হাজার ৫০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছেন ২১১জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৫৩৫ জন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৯দশমিক ০৩ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৩২৪ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ১১৩ জন, দৌলতপুরের ৪৯,  কুমারখালির ৫৪ জন, ভেড়ামারার ৫২ জন, মিরপুরের ৩৩জন, এবং খোকসার ২৩ জন রয়েছে।

মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে একজন ভেড়ামারা উপজেলা এবং দুইজন করে সদর উপজেলা, দৌলতপুর, কুমারখালি এবং মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত জেলায় ৬২ হাজার ৯৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬০হাজার ৮১৪ জনের।  বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

বর্তমানে কুষ্টিয়া সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩০৪ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২০৪ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছে ২ হাজার ১০০ জন।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি গণবিগপ্তি জারি করেছে এতে বলা হয়, কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। 

এসময় ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ছাড়া বাকি সব দোকান, শপিংমল বন্ধ থাকবে।

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মোঃ খায়রুল আলম বলেন, কঠোর ভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। জেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট তল্লাশি করা হচ্ছে। সবার কাছ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সহযোগিতা পাচ্ছি।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনায়ারুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমান সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। সব উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তে সংখ্যা।

লকডাউনের মধ্যেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তাঘাটে চলাচল করছে।  এতে করোনা সংক্রমনের চলাচল করছে।  এতে করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। ফলে লকডাউনের সুফল মিলবে না।

জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতার কারণে সংক্রামণ বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। দেওয়া বেশ কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন,  করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে গণবিগপ্তি জারি করা হয়েছে। মানুষ সচেতন করতে মাঠে নেমে কাজ করা হচ্ছে। আমি নিজেও বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মানুষের মাঝে সচেতন সৃষ্টির চেষ্টা করেছি।

এ ছাড়া বিধিনিষেধ প্রতিপালনে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আইন আমান্য কারীদের প্রতি কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ