শুটিংস্পট থেকে তিনি বলেন, ‘এর আগে ‘ডুব’ সিনেমার শুট করেছিলাম বাংলাদেশে। সেটার অভিজ্ঞতাও খুব ভালো ছিল। এবারও তাই। যেখানে শুটিং করছি সেটা একটা গ্রাম। এখানকার মানুষগুলো খুব ভালো। আমাদের সহযোগিতা তো করছেনই, পাশাপাশি খুব আদর করছেন। এখানে রাতে নদীতে একটা শুট ছিল। সেখানে লাইট করতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরে পাশের বাড়ির মানুষগুলোই আমাদের থাকতে ও খেতে দিয়েছেন। বহু জায়গায় শুটিং করেছি, কিন্তু এমন ভালোবাসা কোথাও পাইনি।’
পার্ণো মিত্র বলেন, এই সিনেমার নির্মাতা তুহিন ভাই, সিনেমাটোগ্রাফার সাহিল রনি, মোশাররফ ভাই, জর্জ ভাইসহ সবার কাছ থেকে অনেকে সাপোর্ট পাচ্ছি। গল্প ও সংলাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, শুটিং করছি। এই সিনেমার গল্প মন ছুঁয়েছে। জীবনের কাছের গল্প। তবে, এখানে অনেকে শীত পড়ছে। আত্রাই নদীর ওপর নৌকোয় বেশি শুটিং করতে হচ্ছে। তাই ঠাণ্ডা একটু বেশি লাগছে।
সহশিল্পী মোশররফ করিমকে বলেন, খুবই হেল্পফুল একজন অভিনেতা মোশাররফ করিম। তিনি অভিনয় দারুণ বোঝেন। তার সঙ্গে আগে কোনো কাজ না করলেও তার অভিনয় দেখেছি। অসাধারণ একজন অভিনেতা। আমাদের দেশে তার অনেক ভক্ত। এই সিনেমায় বেশির ভাগ শুটিং তার সঙ্গে। তার সঙ্গে আমার বোঝাপড়া খারাপ হচ্ছে না।
শুটিং শেষে বাংলাদেশ থেকে কী নিয়ে যাবেন? জানতে চাইলে পার্ণো মিত্র বলেন, এখানে শুটিং করতে এসে দেখছি রাস্তার দু’পাশে অনেক খেজুর গাছ। এই খেজুর রস থেকে এখানকার লোক পাটালি, ঝোলাগুড় বানায়। আমি খেজুরের গুড় নিয়ে যেতে চাই।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ