সমীক্ষা অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষের দিকে কিছুটা পড়তির দিকে ছিল ভারতের বাজার। নভেম্বরে উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫৭.৬। সেখানে ডিসেম্বরের ৬-১৭ তারিখে এই হার কমে হয়েছিল ৫৫.৫। মাসের শেষের দিকেও তা কখনই নামেনি ৫০-এর নিচে। এই পরিসংখ্যানকেই বাহবা দিচ্ছেন বিদ্বজ্জনেরা।
বছরের এই সময় কালকে অনেকেই ‘ফেস্টিভ সিজন’ বলে থাকেন। সাধারণত একের পর এক উৎসবের হাত ধরে মার্কেটের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ট্রেন্ড লক্ষ করা যায়। গত বছরও ব্যবসায়ীরা পাখির চোখ করেছিলেন উৎসবের মরশুমকে। লকডাউন, অতিমারি ইত্যাদি কাটিয়ে দোকানে বিক্রি বেড়েছিল কিছুটা। উৎপাদক কোম্পানিগুলিও জিনিসপত্রের দাম রেখেছিল অপরিবর্তিত। কিন্তু তা ক’দিন? কারণ মূল্যবৃদ্ধির কারণে কম-বেশি সকলেই জর্জরিত।
বিশ্বের প্রথম দিক থেকেই আমজনতার দৈনিক খরচ বাড়তে শুরু করেছে একটু একটু করে। এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য চার্জ হোক কিংবা দেশলাই বাক্সের দাম- শীতের বেলায় মূল্যবৃদ্ধির আঁচ। মোড়ের চায়ের দোকানিও ভারতী দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। ছোট ব্যবসায়ীদের অনেকের মুখেই পানসে। বলছেন, ‘মার্কেট ডাউন’। মার্কেট ডাউন হওয়ার অন্যতম কারণ মূল্যবৃদ্ধি। প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচর করতে গিয়ে উৎপাদক সংস্থাগুলোকেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি যথারীতি রয়েছে বেকারত্ব সমস্যা। চাকরি না পেয়ে ডিগ্রীপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা রাস্তার পাশে দিচ্ছেন স্টল- ‘সারভাইব’। সিএমআইই নামক এক উপদেষ্টা সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ডিসেম্বরে সারা দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছিল ৭.৯%। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত অগস্টে এই হার ৮.৩% ছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের ফাঁস হওয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১%। যা চার দশকে সর্বোচ্চ। যদিও কেন্দ্র দাবি করেছিল রিপোর্টটি অসম্পূর্ণ।
কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েও ভারতের বাজার রয়েছে টিকে থাকার লড়াইয়ে। কিন্তু সমস্যা সঙ্গে নিয়ে লড়াই ক’দিন সম্ভব? সরকারের সাহায্য প্রয়োজন বৈকি। সাহায্য এলে কবে তা আসবে সে ব্যাপারে রয়েছে প্রশ্ন। তারও ওপরে স্বদিচ্ছা।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ