শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রেলের লোকমোটিভের ব্যাটারি সচল রাখতে এবং বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য প্রচুর সালফিউরিক অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতি বছরই অতি প্রয়োজনীয় এই রাসায়নিকটি কেনে কমলাপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ। গত দুই বছরে ৮০০ লিটার সালফিউরিক অ্যাসিড কিনেছেন রেলের ঢাকা বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী রেজাউল করিম।
সদ্য সমাপ্ত রেলের অডিট বলছে, প্রতি লিটার সালফিউরিক অ্যাসিড কেনা হয়েছে ১৯৯৭ টাকা দরে। বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সালিউরিক অ্যাসিডের কেজি মাত্র ২০-২৫ টাকা। অর্থাৎ বাজার দরের চেয়ে প্রায় ৮০০ গুণ বেশি দামে অ্যাসিড কিনেছে রেল!
এ বিষয়ে একজন অ্যাসিড বিক্রেতা বলেন, দাম হয়তো একটু ওঠানামা করে। তবে সেটি খুব বেশি বাড়লেও বর্তমান বাজার দরের চেয়ে ১৭-১৮ টাকা বাড়তে পারে। এত বেশি হবে কীভাবে?
অপর এক বিক্রেতা জানান, বর্তমানে সবচেয়ে ভালো সালফিউরিক অ্যাসিড প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি।
কেনাকাটায় অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত এই রেজাউল করিম এখন যান্ত্রিক বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে রেল ভবনে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে কিছুতেই রাজি হননি তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য আমি দিতে পারব না।
২৫ টাকার অ্যাসিড কীভাবে ২০০০ টাকায় কেজিতে কিনলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অডিট অনেক সময় অনেক কিছুই বলে। এসবের জবাব অফিশিয়ালি দেওয়া হয়। তাই আমি এখানে কিছু বলব না।
একই রকম অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠেছে ইঞ্জিন মেরামতের ক্ষেত্রেও। ইঞ্জিন মেরামতের যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে প্রচলিত বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বেশি দামে।
তবে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যদি এসব অভিযোগ থাকে তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ