সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

প্রবাদ বাক্যই সত্য হলো, জেঁকে বসেছে মাঘের বাঘ পালানো শীত।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ প্রবাদ বাক্যই সত্য হলো। মাঘ মাসের প্রথমার্ধেই বাঘ পালানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। তবে এমন শীতে প্রকৃত বাঘদের খবর জানা না গেলেও জেলায় জেলায় মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত মানুষই এর প্রধান ভুক্তভোগী।

এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় রংপুর, দিনাজপুন, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলায় কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন এতটাই বিপর্যস্ত যে, সড়কে মানুষের চলাচল কমে গেছে। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলায়ও যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।

তারপরও থেমে নেই এ জেলার জনজীবন। জীবিকার তাগিদে বের হতেই হচ্ছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষদের।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে নীলফামারী জেলায়। এতে গত কয়েক দিন ধরেই নীলফামারীসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করছে।

ফলে শীতের পোশাক ছাড়াও অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে তিস্তাবেষ্টিত এলাকার মানুষজন পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে। শীত নিবারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

এদিকে দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলাগুলো আবারও জেঁকে বসেছে শীত। শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সোমবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এলাকার রহিম মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধ জানান, আমি গরিব মানুষ বাবা। নতুন কাপড় কিনার ক্ষমতা নেই, সেই জন্য পুরনো কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। শীত অনেক বেশি। খুব কষ্টে আছি।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৪-৫ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে।

এ ছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৭, রংপুর ৯ দশমিক ২, ডিমলা ১০, নওগাঁ ৮ দশমিক ৪, রাজশাহী ৯, যশোর ৯ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গা ৯ দশমিক ৩, শ্রীমঙ্গল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও জানান, চলমান শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত রয়েছে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ