বুধবার সকালে এনামুলকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ইউএনও । পাশাপাশি নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেন।
এনামুল হক উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামের মো. ইসরাইল হোসেনের ছেলে। তিনি ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তার বাবা একজন ইজিবাইক চালক। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে এনামুল মেজো। তিনি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে (বিজ্ঞান বিভাগ) জিপিএ-৫ অর্জন করেন এবং ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান তিনি।
এ বিষয়ে বুয়েট ছাত্র এনামুল হক বলেন, তার বাবা একজন ইজিবাইক চালক। ছোটকাল থেকেই দরিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে পড়াশোনা চালিয়ে আসছেন। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ যতগুলো জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন সবগুলোতে চান্স পেয়েছেন। সকলের সিদ্ধান্তে বুয়েটে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু বুয়েটে পড়া খুব ব্যয়বহুল হওয়ায় শুরুতেই চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন বলে জানান। তবে বুয়েটে সেটেল হতে পারলে টিউশনি করে পড়ালেখা চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
জানা যায় , মঙ্গলবার রাতে এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টর কেএইচ তুহিন আহমেদ মেধাবী শিক্ষার্থী এনামুলের বাবা একজন ইজিবাইক চালক হওয়ায় অর্থাভাবে তার বুয়েটে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃতি ছাত্র এনামুলের অসহায়ত্বের এমন পোষ্ট ফেসবুকে দিলে বিষয়টি কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আসে।
ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, উপজেলা প্রশাসন সবসময় মেধাবীদের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কৃতি ছাত্র এনামুলকে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে। প্রয়োজনবোধে ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ