যেখানে ৮ নম্বর ব্যাটিং পজিশনে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এর আগে ২০২১ সালে ডাবলিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮ নম্বর ব্যাটিং পজিশনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের সিমি সিং।
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়ে বাংলাদেশ। অতপর মেহেদি হাসান মিরাজের অভিষেক সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৭১ রান তুললো বাংলাদেশ। ফলে জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ২৭২ রান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ব্যাট হাতে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ব্যক্তিগত ১১ রানে আউট হন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাসের ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ৭ রান। ৮ রান করে আউট হন সাকিব আল হাসান।
নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাটে আশার আলো দেখতে থাকে বাংলাদেশ শিবির। কিন্তু ব্যক্তিগত ইনিংসটা খুব বেশি বড় করতে পারেননি বা-হাতি এই ব্যাটার। ৩৫ বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি। ১২ রান করতে পেরেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আর রানের খাতায় খুলতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব।
মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারালে মনে হচ্ছিল একশও করতে পারবে না টাইগাররা। এমন সময় সপ্তম উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাট করে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজন মিলে গড়েন ১৪৮ রানের জুটি। এই দুই ব্যাটারই অর্ধশতকের দেখা পান। ৯৬ বলে ৭৭ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন রিয়াদ।
এদিকে নাসুম হোসেনকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলে যান মিরাজ। নিজের ফিফটিকে রূপ দেন সেঞ্চুরিতে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই তার প্রথম শতরানের ইনিংস। তিনি অপরাজিত থাকেন ১০০ রানে। মাত্র ৮৩ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি আটটি চার ও চারটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন নাসুম আহমেদ।
0 মন্তব্যসমূহ