১১ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) বেলা ১১টায় জেলা ইজতেমা কমিটির আয়োজনে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা থেকে আগত তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আশরাফ আলী। মোনাজাতে হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নেন।
প্রায় ২০ মিনিটের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জেলা ইজতেমার সমাপ্তি ঘটে। মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের নিরাপত্তা, নাজাত, শান্তি, কল্যাণ, ঐক্য, মুক্তি, আত্মশুদ্ধি এবং ইহকাল ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করেন মুসুল্লিরা। এছাড়া মোনাজাতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হাজার হাজার হতাহত মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।
ইজতেমায় জেলার ৭ উপজেলাসহ দেশের ও ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারের ধর্মপ্রাণ হাজারো মুসুল্লী অংশ নেয়। এ সময় মুসল্লিরা তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি তাবলীগ জামায়াতবদ্ধ হয়ে ইসলামের দাওয়াতি কাজে বের হওয়ার অঙ্গীকার করেন।
ইজতেমার আখেরী মেনাজাতে অংশ নেন পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, সুষ্ঠ ভাবে ইজতেমা পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নজরদারি করেছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.জা.মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, ইজতেমায় অংশগ্রহণ করা মুসল্লিদের নিরাপত্তাসহ কোন প্রকার বিড়ম্বনায় পড়তে না হয় সেদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে নজর রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের কঁচা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর পশ্চিম প্রান্তে পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা এলাকায় ভারতীয় জামাতের আমবয়ানের মাধ্যমে তিন দিনের জেলা ইজতেমা শুরু হয়।
0 মন্তব্যসমূহ