দাম্পত্য এমন একটি সম্পর্ক যেখানে মাত্র দু'জন মানুষের অস্তিত্ব থাকতে পারে। আর যখনই তৃতীয় পক্ষ নাক গলায়, সমস্যা শুরু হয় সেখান থেকেই। মা এবং শাশুড়ি দুজনেই মাতৃস্থানীয়া, তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা অন্যায় করলেও কিছু বলা যায় না। শুধু মেয়েরা নই বরং ছেলেরাও এ সমস্যায় পড়ছেন। এর ফলাফল হলো- একান্ত ব্যক্তিগত দাম্পত্যে অশান্তি।
অনেক শাশুড়িই আছেন যারা মেয়ে জামাইয়ের সংসারে নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করেন, মেয়ের সাথে শ্বশুর বাড়ির ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান, মেয়েকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করার বদলে কূটকৌশল ও স্বার্থপর হতে শেখান।
অনেক পরিবারেই বউ-শাশুড়ির মধ্যে একটা 'শীতল যুদ্ধ' চলতে থাকে এবং ফলাফল হিসেবে দিনের পর দিন সম্পর্কটা তিতা হতে থাকে।
আবার প্রতিবেশী অথবা কোন আত্মীয় স্বজন তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বানোয়াট গল্প বলে শাশুড়ির কান ভারী করতে পারে।
অনেক সময় শাশুড়ি ঘরের মধ্যে এক ধরনের আচরণ করেন, আবার বাইরের লোকের সামনে অন্য ধরনের আচরণ করেন। যেটাকে লোক দেখানো আচরণ বলে।
আপনার চেহারা, বডি স্ট্রাকচার, বাবার পরিবার নিয়ে কটুকথা বলতেও ছাড়ে না অনেক সময়।
শাশুড়ির সাথে যদি সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় অথবা সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আগেই আমরা মেয়েরা কি করতে পারি?
বসে বসে ভাবতে পারি, কোন পরিস্থিতিতে তিনি খারাপ ব্যবহার করছেন। ভুলটা কার, সেটা বুঝিয়ে বলতে পারি। একটা মিথ্যা লুকাতে গিয়ে আমরা বেশি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ফেলছি কিনা সে বিষয়টাও ভেবে দেখা জরুরি।
শাশুড়িকে সামলানোর আগে স্বামীকে মানিয়ে নিন। বুদ্ধিমান স্বামী পরিস্থিতি সামলে নিতে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে, তবে বোকা স্বামী কিন্তু পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে!
যেকোন সম্পর্কে একটু দূরত্ব বজায় রাখুন। সবকিছু শেয়ার না করাই ভালো।
শাশুড়ির কাছে থেকে বেশি কিছু প্রত্যাশা না করাই ভালো। শাশুড়ি আপনার বাচ্চা সামলাবে, আপনার ক্যারিয়ার গঠনে সাহায্য করবে, আপনার জন্য 'কমফোর্ট জোন' তৈরি করে দিবে; এই টাইপের আকাঙ্খা না রাখায় ভালো।
নিজের ভাবনা নিজেকেই ভাবতে হবে। আমরা মেয়েরা শ্বশুর বাড়ির হাততালি পাওয়ার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তি অন্যের হাতে তুলে দিই! কিভাবে জীবন যাপন করবো,পড়াশোনা করবো কি-না, চাকরি করবো কি না; এসব বিষয়ে শাশুড়ি, স্বামীর অনুমোদন আছে কি না সেই বিষয়টা ভাবতে থাকি। এসব ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় চলে যায়- ক্যারিয়ার গঠন আর হয় না!
আর ছেলেদের শ্বশুর বাড়িতে ভালো ইমেজ রাখা তো খুবই সহজ! বউকে বেশি বেশি ভালোবাসলে, ভালো রাখলে আর কিচ্ছু চাই না তাঁরা। এটাই আমার ধারণা, আপনাদের কি মত,,,.....,?
6 মন্তব্যসমূহ
যার যার জীবন তার তার নিজের মতো যাপন করতে দেয়া দরকার। বোকা মায়েরা মেয়ের ভাল করতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় মন্দ করে ফেলে।
উত্তরমুছুনবোকি শ্বাশুরীরা ছেলের বিয়ে দিয়েও ছেলেকে খাইয়ে দেয়ার সময়টিতে দেখতে চায়।
এইসব থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুছুনখুব ভালো কথা, এইভাবে যদি সব পরিবার ভাবতো তাহলে তো ভালোই হতো।
উত্তরমুছুনআপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুছুনআসলে কোন কিছু থেকে বেশি প্রত্যাশা করা ঠিক নয়।
উত্তরমুছুনআপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুছুন