পুলিশ সদস্য আমিরুল পারভেজের কবরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ডের শ্রদ্ধাঞ্জলি। |
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় শায়িত শহীদ পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিরুল ইসলাম পারভেজের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, "গত ২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কর্তৃক দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুল ইসলাম পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফুটেজ অনুযায়ী স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বিএনপির সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিরুল ইসলাম পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর রাজাকারদের সন্তানদের হাতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে নৃশংস ভাবে জীবন দিতে হলো যা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। আর নয় প্রতিবাদ, এবার হবে প্রতিরোধ। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদেরকে এবার রাজপথে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা সমুচিত জবাব দিবে। প্রশাসনের নিকট আহবান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ সদস্য আমিনুল ইসলাম পারভেজকে হত্যাকারী বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ হামলায় জড়িত ছাত্রদল-শিবিরের সকল সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক দিতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড।"
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "শহীদ পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিরুল ইসলাম পারভেজের হত্যাকারী এবং মদদদাতা সকল আসামী গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সরাসরি হামলায় জড়িত রাজাকারের সন্তান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। অবিলম্বে সন্ত্রাসী জুয়েলকে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় তাকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা তাকে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। আজকে কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে আমরা শপথ নিয়েছি হত্যাকারী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিরুল ইসলাম পারভেজের পরিবারের পাশে থাকবে। সরকারের নিকট দাবি, অবিলম্বে শহীদ পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের স্ত্রীকে চাকুরী প্রদানসহ তার পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তার বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা অসুস্থ অবস্থায় ছেলে হারানোর শোকে আরো অসুস্থ হয়েছেন। তার পুরো পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে হারিয়ে আজ অসহায় কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এই অসহায় পরিবারকে দেখার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আন্দোলনের নামে বারবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে বিএনপি-জামাতের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।"
0 মন্তব্যসমূহ