সামিরা খাতুন পাশা
====================
সেদিন নিবর্তন ছিল ধারাধরে,
ছিল শ্রাবণ শেষে শরতের শুভ্র নীলাভ আগমনী অনুরণন।
অবনী পরে ফুঠেছিল সমগ্র সুগন্ধি পুষ্প মঞ্জরি,
হেসে উঠেছিল অখিল বীজনের মর্মর ধ্বনির ঝংকারে।
উন্মাতাল এক লহরী জেগে উঠেছিল শান্ত কোমল হৃদয়ে।
কে যেন কানে কানে বলে গেল ফিসফিসিয়ে
' ভালবাসী.....'
যেন সহস্র যুগ গুণেছে প্রতিক্ষিত মন
শীতল করা বাণে এ উষ্ণ অভ্যর্থন।
চোখে চোখ রেখে নির্বাক চেয়ে থাকা,
বর্ষার নির্মেঘে ভিজে যাওয়া মন পুলকিত হয়।
হৃদয়ে কম্পন আনে ভাল লাগা অপরিসর কথার ভারত্ব।
মাঠ পেড়িয়ে ছুট দেয় স্বপ্নগুলো সুবিস্তৃত মনের বাগানে।
রাশি রাশি কুসুমায়নে শোভিত হয়ে ওঠে বিজন মন মন্দির।
শরতের নীলাকাশের ন্যায় নীল জমিনে জড়ানো
প্রেয়সীর তনুখানি কাড়ে মন,
নীলেই অধিক রূপময় সে যে শরতেরই মত।
হয়ে যায় বদন বৃষ্টি কণায় মুক্তো দানার ন্যায় চকচকে ইন্দ্রধনুর আভায়।
ছুঁয়ে দেয় শুভ্র দৃষ্টিতে তৃষিত বুকের জমিন।
ভালবাসার স্রাবণ ধারায় ধুয়ে দেয় অনাবিল মায়ায় বেদনা ঝরা পথ,
একাকী পদ চারণা থমকে দিয়ে
মুখোমুখি থমকে যায় পৃথিবীর সমুদয় বিরুদ্ধ প্রবাহ।
0 মন্তব্যসমূহ