বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর,এবং রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম-উল আযীম, বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া, ঝিজিয়াং ইউনিভিউ টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেডের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের কারিগরি পরিচালক আর্নল্ড লিউ, এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার।
সিসিক মেয়র আনোয়রুজ্জামান চৌধুরী বলেন, রাজশাহীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন নগরপিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমি অভিভুত তাঁর সকল কাজে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনের পরামর্শ দেন। সিলেটকে রাজশাহীর মতো করে সাজাতো চাই। রাজশাহীকে মডেল হিসেবে নিতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাত্র ১৫ বছরে বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। এখানেই আমরা থামবো না। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে যাচ্ছি। স্মার্ট রাজশাহী মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। স্মার্ট রাজশাহীর মতো স্মার্ট সিলেট মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। তারই আলোকে স্মার্ট রাজশাহীর মডেল সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে গেছি। এবার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। সেই লক্ষ্যে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এমপ্লয়মেন্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা হচ্ছে। তারা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ নার্সিং কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দক্ষ নার্স তৈরি করা হবে। সবার সহযোগিতা নিয়ে রাজশাহীকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, বিসিএস রাজশাহী শাখার চেয়ারম্যান এবং প্রদর্শনীর আহ্বায়ক এ এফ কাশেমী সোহেল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. খাইরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এস.এম. মুসফিক-উস-সালেহীন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলামসহ প্লাটিনাম স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনায় কাদীরগঞ্জে অবস্থিত ‘স্বপ্নচূড়া প্লাজা’ আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন বিপণী বিতানে মিলবে কেনাকাটার স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি সঠিক পণ্য কেনার নিশ্চয়তা। ‘তারুণ্য আর প্রযুক্তি/ স্মার্ট রাজশাহীর শক্তি/ তরুণরাই গড়বে স্মার্ট বাংলাদেশ’ শ্লোগানে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তির ৭০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ‘স্বপ্নচূড়া প্লাজা’র ৩য় এবং ৪র্থ তলায় থাকবে প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন এবং বিপণন কেন্দ্র। এই প্রদর্শনীতে হালনাগাদ প্রযুক্তির সম্ভার নিয়ে ৭৫টি স্টল এবং ০৯টি প্যাভেলিয়ন রয়েছে। প্রযুক্তিপণ্য ক্রয়ে মিলবে আকর্ষণীয় উপহার এবং মূল্যছাড়। মেলায় প্রবেশের টিকেটের উপর লটারি অনুষ্ঠিত হবে। ড্র’তে মিলবে আকর্ষণীয় উপহার। দর্শনার্থীদের জন্য মেলায় ফ্রি ইন্টারনেট ও ওয়াই-ফাই জোনের সুবিধা মিলবে। এছাড়া প্রতিদিন থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এই প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তির নিত্যনতুন ও জীবনধারাভিত্তিক আবিষ্কারের খোঁজ মিলবে যার মাধ্যমে সাধারণ জীবনে পাওয়া যাবে স্মার্ট সল্যিউশন।পাশাপাশি থাকবে সচেতনতা, বিনোদন ও শিক্ষামূলক বৈচিত্র্যময় নানা আয়োজনের মধ্যে থাকবে ২টি সেমিনার ও বিটুবি সেশন। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪ রাজশাহী এর প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। স্কুল শিক্ষার্থী এবং সংবাদকর্মীদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে। সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৪ রাজশাহী’ প্রদর্শনীর প্লাটিনাম স্পন্সর টিপিলিংক-এক্সেল এবং ইউনিভিউ। আসুস- গ্লোবাল ব্র্যান্ড, সাউথবাংলা কম্পিউটার- টেনডা এবং এইচপি-স্মার্ট প্রদর্শনীর গোল্ড স্পন্সর। প্রদর্শনীতে সিলভার স্পন্সর হিসেবে থাকছে কম্পিউটার সল্যুশনস ইঙ্ক (পিসি পাওয়ার, ডিপকুল, ডি-লিংক, ডিটেক), মনটেক রিভেঞ্জের, এমএসআই এবং অরাস-গিগাবাইট।
0 মন্তব্যসমূহ