সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

চাকরির ফাঁকেই চলত প্রস্তুতি, ছুটির দিন পড়াশোনা, এক চান্সেই IAS হলেন বাংলার নেহা।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ এ যেন রূপকথার গল্প! তবে এই ঘটনা গল্পের মতো শোনালেও তা বাস্তবেরই ঘটনা।উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় চাকরি করতে করতেই ইচ্ছে হয় UPSC দেওয়ার। এখানে চাকরি করতে করতেই পড়াশোনা করতে থাকেন আমাদের এই প্রতিবেদনের নায়িকা। UPSC র মতো কঠিন পরীক্ষায় প্রথমবারের চেষ্টাতেই সাফল্য ও পেয়ে যান।শুধু সাফল্য বললেও ভুল হবে,সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ২০তম স্থান অর্জন করেন তিনি।

IAS নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Neha Banerjee) এই সাফল্যের পেছনে রহস্য কি?বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতে করতে কীভাবে পড়াশোনা?এতটা কঠিন পরীক্ষায় এত ভাল ফল কীভাবে? এসব প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে।আর সেই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর এবার খোলসা করলেন তিনি নিজেই।

বর্তমানে বাঁকুড়ার খাতরায় মহকুমাশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি (Neha Banerjee)।তার বাড়ি যাদবপুরে। তার পড়াশোনা প্রথমে কারমেল গার্লস, তারপর সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুল। হাইস্কুল পাশ করার পর আইআইটি প্রবেশিকা দিয়ে IIT খড়্গপুরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ শুরু করেন তিনি। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা। এরপর ক্যাম্পাসিং-এ চাকরি পান।সেই সূত্রেই চলে যান নয়ডায়। তবে তিনি জানান এই চাকরিতে ঢোকার আগেই তাঁর মাথায় এসেছিল UPSC পরীক্ষায় বসার কথা। নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি কখনও বিদেশ যেতে চাননি।

তাঁর অনেক সহপাঠী এখন বিদেশেই থিতু হয়েছেন। কিন্তু তাঁর আগাগোড়াই ইচ্ছে ছিল দেশে থেকেই কিছু করার। আর এই খোঁজেই চাকরি করতে করতে তিনি UPSC দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯ সালের UPSC-তে সর্বভারতীয় স্তরে ২০-তম স্থান অর্জন করেন তিনি। এরপর ট্রেনিং শেষে বর্তমানে বাঁকুড়ার খাতরার SDO পদে চাকরি করছেন তিনি।

এত বড়ো,এত কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিলেন তিনি? এই প্রসঙ্গে নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রতিদিন সকালে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পড়াশোনা করতেন তিনি। অফিস যাওয়ার আগে ওই সময়টা তিনি পড়াশোনার পিছনে দিতে। সপ্তাহে ২দিন ছুটি থাকত তার, সেই দুদিন এক নাগাড়ে চলত পড়াশোনা- এক একদিন অন্তত ১২-১৩ ঘণ্টা করে পড়তেন তিনি। প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়েই তিনি জানালেন, পড়াশোনার অনেকটা তিনি ডিজিটাল মাধ্যমেই সেরেছেন। মোবাইলে খবরের কাগজ পড়া থেকে বিভিন্ন বই পড়া- ক্লাস করা- সবই ছিল ডিজিটাল মাধ্যমে।

তিনি জানান, ‘আমি অনেকটা মোবাইলে পড়াশোনা নিয়ে এসেছিলাম। খবর, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়তাম। কিছু কিছু নোট মোবাইলে নিয়ে এসেছিলাম। অফিস যেতে যেতে, অফিসের লাঞ্চ টাইমে পড়তাম।’ তিনি আরও জানান, ‘অ্যাকাডেমিক লাইনেই যেতাম। আমি দেশ ছাড়তে চাইনি। আমার ইচ্ছে ছিল দেশেই কিছু করব। আমার ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল আমার পড়াশোনা যাতে মানুষের কাজে লাগে। আমি খুঁজতে খুঁজতে দেখলাম এমন চাকরি করা যায়।  এর থেকে আর কোনও ভাল জায়গাই হতে পারে না যেখানে নিজের পড়াশোনা মানুষের কাজে লাগানো যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ