সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোষ্ট করতে বা সে সব সাইটে না ঢুকতে, কম কম ঢুকতে, আইডি তৈরি না করতে এ যাবতকাল কোনো নারী কোনো পুরুষকে অন্য নারী রূপ দর্শন হয় মর্মে পরামর্শ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই ---- যা পুরুষগণ অহরহ নারীদের দিয়ে আসছেন এমনকি এগুলি ব্যবহারের জন্য লাঞ্চিত অপমানিতও হয়ে আসছেন।অথচ নিজে দেখে বেড়াচ্ছেন অন্য নারীকে।আসলে নারী সৌন্দর্য তুলে ধরছে বলে পাপটা তার একারই দখলে!পুরুষ দেখছেন বিভিন্ন আঙ্গিকে এটা পাপের কোনো বিষয় নয়।আত্মশুদ্ধি না হলে পূণ্য দাঁড়াবে কোথায়...?
আমাদের সমাজে সন্তান জন্ম দিতে না পারলে ৯৮ ভাগ দায়ভার, নানা নিগ্রহের শিকার নারীকেই হতে হয়।সমস্যা উদঘাটনে কোনোকালেই পুরুষকে ডাক্তারের নিকট আগে নিয়ে যাওয়া হয়নি। সন্তান হচ্ছে না মানেই নারীর সমস্যা।খুব মজা পেয়েছি আমি যে ছোটবেলা থেকেই এক কথায় প্রকাশ যে নারীর সন্তান হয় না --- বন্ধ্যা' পড়তে হয়েছে। যে পুরুষ সন্তান জন্ম দিতে পারে না তাকে কি বলে পড়িনি।আসলে ধরে নেয়া হয় পুরুষের ফার্টিলিটি অমর।
৭/৮ বছর আগে আমার খুব কাছের ছোট বোনের সন্তান হচ্ছিল না বলে ট্রিটমেন্ট করতে বলেছে ওর পরিবার।আমাকে বললে আমি বলেছিলাম ওর হাজবেন্ডকেও চেক আপ করাতে।এও বলেছি আমাদের সমাজে পুরুষেরা আয়োজন করে খুবই আগ্রহ ভরে বউকে ডাক্তারের কাছে চেক আপ করতে নেয়।পরিবারের সবাই তাকেই নানা কথা শোনায়।ব্যাপারটা এমন যে যার সন্তান হয় না সে খুব আনন্দেই থাকে।তোর হাজবেন্ডকে বললে দেখবি তোকে না জানিয়ে চেক আপ করাবে।তোর কাছে ওর অপারগতা প্রকাশ করাটা তার জন্য লজ্জার। কিন্ত তোর অপারগতাটা দারুণ উপভোগ্য।বোনটি আমাকে বলেছিল "সেতো আমাকে খুব ভালবাসে অবশ্যই বলবে" আমি বলেছিলাম এসব ভালবাসা পোশাকি।পুরুষেরা নিজের মানের কাছে ভালবাসাকে বিক্রি করে না।চেক আপে যদি ওর সমস্যা ধরা পড়ে দেখবি ঔষধও খাবে তোকে গোপন করে।পরবর্তীতে বোনটি আমাকে জানায় সত্যি ওর হাজবেন্ড ওকে না জানিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছে।
মহান আল্লাহ মাফ করেছেন উভয়ের চিকিৎসা পরবর্তী সন্তান দান করেছেন।
নারী ও পুরুষ উভয়কেই যার যার গন্ডিতে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।নারীরা পর্দা রক্ষা করব আর পুরুষও চোখের পর্দা বজায় রাখবে।পর্দা হোক মনের, আচরণ হোক সম্মানের।
খাবার ঢেকে রাখলে নিশ্চয় ক্ষুধা দূর হবে না।যথাযথ প্রেসক্রিপশনটাই দরকার।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সকলের প্রতি সুদৃষ্টি রাখার তৌফিক দিন। আমিন।
0 মন্তব্যসমূহ