সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী, সেক্রেটারি জিএম তাওহীদ আনোয়ারের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আখন্দ, রাহাত আলী বিশ্বাস, এনামুল হক, জয়েন্ট সেক্রেটারি তাওহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেলসহ দলটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে অংশ নিয়ে দলটির নেতাকর্মী,সাধারণ মানুষ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড,ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন শহরের এনএস রোড ও থানা ট্রাফিক মোড় এলাকা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের লোক একসঙ্গে বসবাস করে আসছে। মসজিদ-মাদ্রাসা ও মন্দির পাশাপাশি থাকারও নজির রয়েছে। কিন্তু কোথাও তো এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি। ভারতের নির্বাচনের প্রাক্কালে ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে হামলা এবং দুজন মুসলিম শ্রমিককে নির্মমভাবে হত্যা ও কয়েকজনকে আহত করা সাধারণ ঘটনা নয়। মুসলিম শ্রমিকদের নির্যাতন ও হত্যা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
বক্তারা বলেন, এক মন্দিরের প্রতিমায় আগুন লাগানোকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে দুই মুসলিম শ্রমিককে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। এদেশের উগ্রবাদী হিন্দুরা আমাদের মাথায় উঠে বসেছে। দুই মুসলিম সহোদর কোরআনের হাফেজকে ৫ ঘণ্টা পিটিয়ে হত্যাকান্ডের মিশন বাস্তবায়ন করলো মধুখালী থানার ওসিসহ বহু পুলিশের সামনে।
মনে হচ্ছে ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে আমরাই ভাড়াটিয়া। বক্তারা অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মধুখালির দুই মুসলিম শ্রমিক হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে জোর দাবি জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
0 মন্তব্যসমূহ