সৎবাবা উপজেলার সদকী ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। আর ভুক্তভোগী ছাত্রী স্থানীয় এক মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ, স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওই ছাত্রীর মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই ব্যক্তি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে রাতে ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ধর্ষণের কয়েক মাস পর ওই ছাত্রীর পেট ব্যথা অনুভব হয়। গতকাল রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা করায় তার মা ও সৎবাবা। পরীক্ষায় ওই ছাত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে এবং ওষুধ খাইয়ে করাতকান্দি এলাকায় নিয়ে তাকে গর্ভপাত করানো হয়।
বিষয়টি ওই দিন রাতে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে একটি কক্ষে আটক করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আজ সোমবার সকালে থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার আসামিকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় সৎবাবাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ