মনে পরে, বাটালি পাহাড়ের অজস্র ফুলের সমারোহ। চট্টগ্রামে লালখান বাজারের মোড়ের সেই ঝোলানো গোলাপি রঙের ফুল গুলো। বাঘ কোনা মোরের দোতলা বাড়ি পাখিদের কিচির মিচির শব্দ। সার্কিট হাউজের গোলাপ চুরি।
আমার বাবা মা চাচার সঙ্গে, আলমাস হলে, ছবি দেখা। খুব মনে পড়ে, মিলন, আক্তার ভাই লাকী যুথীদের বাসায় গিয়ে মেহেদী তোলা। মামীর হাতে চানাচুর খাওয়া।
শবেবরাতের সন্ধ্যায় মোম জ্বলিয়ে কোরআন পড়া।
সব হারিয়ে গেছে স্মৃতির পাতায় দীর্ঘশ্বাস।
মতলব গার্লস স্কুল পড়তে গিয়ে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছায়া বানী হলে, ছোট সাহেব, গৃহলক্ষ্মী ছবি দেখা।
মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্মৃতি, কলেজ ফাঁকি দিয়ে কয়েকজন বান্ধবী মিলে, কাজলী সিনেমা হলে স্বপ্নের নায়ক, স্বপ্নের ঠিকানা, আরও বহু সিনেমা দেখছি যার নাম মনে নেই।
কলেজের কমন রুমের কথা, সে কি দৌড় দিতে হতো সামনের বেঞ্চে বসার জন্য।
একবার বিলাই চিমটি দিয়ে রাখে সামনের বেঞ্চে, ওরে বাবা সে চুলকানি, আর বসিনি সেই বেঞ্চে।
ভোরে উঠে প্রভাতফেরি, নবীন বরন, সব হারিয়ে গেছে স্মৃতির পাতায়।
এখন আছে সেলফি বাজি, স্কুল কলেজের সামনে ছেলেমেয়ে ফেরিওয়ালার অবাধে বিচরণ।
আছে বাচ্চাদের কাঁধে ব্যাগের বোঝা, যা কিনা মা বহন করেন। রেগডে, টিচার্স ডে নাই সম্মান, শ্রদ্ধা ভালোবাসা, শাসন।
শাসন করাতে শিক্ষককে হতে হয় লাঞ্চিত নির্যাতিত হত্যা তাও ছাত্র অভিভাবক দ্বারা। তৈরি হলো কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাস,মাদকাসক্ত সন্তান আর বৃদ্ধাশ্রম।
কলমে - ফেরদৌসী কাজল
0 মন্তব্যসমূহ