অভিযুক্ত দুই বন্ধু হলেন- একই ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে মো. ফিরোজ (২৮) এবং লালমোহন পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙাপোল এলাকার মো. রুবেল (৩০)। এছাড়া গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে গত ২০ দিন ধরে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল ফিরোজের। বুধবার বিকেলে ওই কিশোরীকে দেখা করতে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের একটি বাজারে ডেকে আনেন প্রেমিক ফিরোজ। সেখানে দেখা করার পর রাত ঘনিয়ে এলে ওই কিশোরীকে প্রেমিক ফিরোজ তার বোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ফিরোজের বসতঘরের পাশে তার নানার পরিত্যক্ত একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
এরপর ফিরোজ মো. রুবেল নামে তার এক বন্ধুকে মোবাইলে ডেকে এনে তাকে দিয়েও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করান। রাতভর ফিরোজ ও রুবেল কিশোরীকে গণধর্ষণ শেষে ঘরে তাকে একা রেখে বৃহস্পতিবার ভোরে বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যান। এরপর সকালের দিকে ফিরোজের মা ওই ঘরের ভেতর শব্দ শুনে ঘরের তালা ভেঙে ওই কিশোরীকে বের করেন। পরে কিশোরী তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি ফিরোজের মাসহ প্রতিবেশীদের জানান। এরপর ঘটনাটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় এনেছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার ভোলায় পাঠানো হবে। তবে এ ঘটনায় থানায় গণধর্ষণের একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এরইমধ্যে অভিযুক্ত ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
0 মন্তব্যসমূহ