শিরীণ আক্তার
=====================
তোমাকে ভাবলে মনে পড়ে বর্ষাদিনে বৃষ্টি জলে ভেজার কথা
চুপচুপে ভেজা শাড়ি লেপ্টে যাওয়া টিপ আর কাজল,
তোমাকে ভাবলে মনে পড়ে দুপুর রোদে তৃষ্ণার্ত ঘর্মাক্ত হয়ে ঘরে ফেরা
হৃদয়ের গভীর থেকে ক্ষরিত হয় গনগনে লাভা -
কৃষ্ণচূড়ার সিঁদুর প্রাতে আল্পনা আঁকা হাতে
মেহেদী রাঙানো করতলে আর আলতা পরা পায়ে
খুব যতনে করেছ সাজ-বাজিয়েছ সুরের বীণ।
তোমাকে ভাবলেই ফেনিল জল আছড়ে পড়ে বুকে
রাশি রাশি মুক্তো দানা ঝিনুকের খোলস ছেড়ে আসে,
তোমাকে ভেবে নির্ঘুম রাত জেগে থাকি অসীমে চেয়ে
রূপালি নক্ষত্র জাল বিছিয়ে লুকোচুরি খেলে আকাশতটে-
সূ্র্যকাঁটায় বেঁধে খোঁপা -সিঁথিতে টিকলী গেঁথে
নাকের নোলকে ঝালর ঝুলিয়ে
গন্ধবিলাসে সাজিয়েছ কেশ -অপলক চেয়ে থাকি।
তোমাকে ভাবলেই শুভ্র মেঘ ভেলা ভাসায় নীল সরোবরে,
ফোঁটা ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে পুঞ্জীভূত মেঘের কাজল কালো চোখে
তোমাকে ভাবলেই শীতের শিশির হিম হিম পরশ বুলায় -
পলা শাখা আর হাঁসুলি দুল
বেনারসি মখমল
কনে দেখা সেই আলোর সাঝে
লাজ রাঙা ঠোঁটে লাজুক লাজুক সাজে
চোখে চোখ রেখেছিলে তুমি॥
খড়কুটো জড়ো করা আগুন উত্তাপ ছড়ায়,
আলসে দুপুর চেয়ে থাকে ঘুম জড়ানো চোখে-
জানালার কপাট ছেয়ে দূরের দিগন্তে
বাবুই যেথা বাসা বাঁধে,
তোমাকে ভাবলে মনে পড়ে তেমনি এক ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখি রোজ।
0 মন্তব্যসমূহ