শুক্রবার (২৪ মে) সকালে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানা সংলগ্ন হোটেল রিলাক্সের দ্বিতীয় তলার ৩২ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করেন নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম শাহীন। তিনি বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
হোটেল ম্যানেজার জুয়েল হোসেন জানায়, আজ (শুক্রবার) সকাল আটটার দিকে তাকে একাধিক বার ডাকাডাকির পরেও কোন সারা শব্দ পাইনি। পরবর্তীতে হোটেল কক্ষের দরজায় হালকা ধাক্কা দিতে দরজা খুলে যায়। তখনই তার মৃত্যু দেহ ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলতে দেখি। তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।
দোকানের কর্মচারী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিস মিয়া গত বুধবার রাতে দোকান থেকে বের হন। পরে গত ২৩ মে রাতে তাঁরা ইদ্রিসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পান।
ইদ্রিসের স্ত্রী মাহমুদা বলেন, ‘গত বুধবার সকালে বোনের বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। তারপর দুদিন পর্যন্ত রাতে বাসায় আসেননি। আজ সকালে জানতে পারি থানা সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’
ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আতাহার আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনা আমি শুনেছি। ইদ্রিস আলীর বাবা কয়েকদিন আগে মারা গিয়েছেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে তার গ্রামের বাড়ি খুব কাছাকাছি। তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে নদীর ওপারে রিল্যাক্স হোটেলে কেন দুইদিন যাবত বসবাস করছে সেটা আমার জানা নেই। বিষয়টি দুঃখজনক।
নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, ব্যবসায়ী নিজের কক্ষেই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথামিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
0 মন্তব্যসমূহ