পক্ষান্তরে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সের দুধের শিশু সুমাইয়া আক্তারের বৃদ্ধ বাবা খোকা প্রামানিক (৭২) টাকার বিনিময়ে মেয়েকে বিক্রি করতে চান। শিশু সুমাইয়াকে অনেকেই লালন-পালন করার জন্য নিতে আসলেও প্রতিবেশীদের বাধায় এখনো কেউ নিতে পারেনি।
উপজেলার রতনপুর গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, খোকা-বিউটি দম্পতির নিজস্ব জমি না থাকায় ছোট যমুনা নদীর পাড়ে ছোট্ট একটি ঘরে শিশু সুমাইয়াকে নিয়ে বসবাস করেন।
পুরাতন টিনের ছাউনি ও সরোঞ্জার বেড়ার জরাজীর্ণ কুঁড়ে ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। নদীতে যে বছর অতিরিক্ত বন্যার পানি প্রবাহিত হয় তখন তাদের বাড়ি পানিতে ডুবে যায়। তখন তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অন্যের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নেন।
প্রতিবেশী জায়বর আলী সরদার বলেন, খোকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি একটি বাড়ি পেয়েছিল, কিন্তু অভাবের কারণে সেটি অন্যের কাছে বেচে দিয়েছে।
তারপর থেকে সে নদীর পাড়ে ছোট ঘর তৈরি করে বসবাস করে। খোকা আগেও একটি বিয়ে করেছিল, সেই বউ মারা যাওয়ার পর বিউটিকে বিয়ে করে এবং শেষ বয়সে শিশুটির বাবা হন।
তিনি আরও জানান, আগে নদীতে মাছ ধরে ও অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাত। এখন শেষ বয়সে নিজেই চলতে পারে না- ফলে সংসারের চাল-ডালও ঠিক মতো যোগাতে পারে না। তার ওপর শিশুটির দুধ ও ওষুধপত্র।
মছিরন বেগম নামের আরেক প্রতিবেশী বলেন, আমরা কয়দিন তাদের চাল-ডাল দিয়ে সহায়তা করব। খোকা বয়স্ক ভাতা পায়, তবে বিউটি কানে কম শোনে বোকা এবং বুদ্ধি নাই বললেই চলে। সরকার যদি তাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিত তাহলে সংসারটা তাদের একটু হলেও ভালো চলত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা বলেন, যেহেতু শিশু সুমাইয়ার বাবা বয়স্ক ভাতা পায়। মা বিউটি যদি প্রতিবন্ধীর মধ্যে পরে বিধিমত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে প্রতিবন্ধীর আওতাভুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ