এটা কিন্তু কোন লিঙ্গান্তর করে বলেন নাই। অতএব সব স্ত্রী সব সময়ের জন্য তার স্বামীর অধীনস্ত, দাসত্ব, দাসী বাদীগিরি করতে জন্মেননি। বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুন্দর উদাহরণ। এই রকম উদাহরণ শতাব্দীর পর শতাব্দী পৃথিবীব্যাপী ছিল, আছে, থাকবে।
যেমন মহারানী ভিক্টোরিয়া, সুলতানা রাজিয়া, সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, রানী এলিজাবেথ, মাদার তেরেসা, ইন্দ্রিরা গান্ধী, বেনজির ভুট্টো, এ যুগেও আছেন মমতা ব্যানার্জি। এবং এই বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিরোধী নেত্রী ও সাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমান মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই পুরুষ জাত যেন সব নারীকেই ভোগের সামগ্রী না ভাবে?!
জ্ঞানী—গুণী নারীরা তাদের প্রজন্ম রাখবেন। কিন্তু কারো ভোগের সামগ্রীর মতো হাত-পা গুটিয়ে, পুরুষের পা কামড়ে পড়ে থেকে, নোলুপ দাসীবাদী হবেন না। ও ইচ্ছায় ব্যবহার হবেন না। এটা সেইসব নারীদের নিজস্ব ইচ্ছা চিন্তা চেতনা। তাই তিনারা স্বামীর পা ডলবেন কি ডলবেন না, অথবা তিনাদের পা স্বামীর দিয়ে ডলাবেন কি ডলাবেন না, এই নিয়ে ভাবার অধিকার কারোরই নাই। পুরুষ জাতের তো একদমই নাই। আমি রাগ—অভিমান করে বা ঘৃণা করে পুরুষকে, পুরুষ জাতীই বলি।
এভাবে বলতে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়। কারণ তারা এক আধজন ছাড়া অধিকাংশই যেখানে নারীকে নিচুর চোখে দেখে থাকে। এক আমি বাদে বিলবুল নারী সার্বিক পর্যায় পুরুষকে সন্মান করে থাকে ও বিশ্বাস করে, তাই তো মরে। আমি বাইরের অল্প কিছু ছাড়া শুধু আমার আপন রক্তের সম্পর্কের পুরুষকেই পশু না ভেবে মানুষ বলে মানি। সন্মান করা আমি শিখি নাই কোন পুরুষকেই। তবে আমার মন মানসিকতার ওয়েট সবার থেকে আলাদা। সেটা বুঝতে আরো ৫০ বছর সম্মুখ এগিয়ে আপডেট হতে হবে। অতএব ৫০ বছর ওয়েট করতে হবে।
হ্যাঁ আমি পুরুষকে যতটুকু মানি, সেটা লক্ষজনের ভালোবাসা ভালোজানার ঊর্ধ্বে। মানে লক্ষ কোটি নারীর সম্মান, আর আমার একলার ভালো জানা, দাঁড়িপাল্লায় উঠালে বাটখারার ওজনে সমান! হা আমি এতটাই পুরুষকে সম্মান করি। তবু একজন করে বাছা, বেছে বেছে সম্পর্ক ধরে বলা, সম্ভব হয় না। এটা কঠিনই হয় না, ভালোও রাগে না। বলা স্টাডার্ড হয় না, নিজের কাছেই দূর্বল বাক্য মনে হয়। হ্যাঁ শুধু পরুষ নয়, নারীও নেতা হতে পারে, অভিভাবক হতে পারে। পারে হতে পুরুষও নারীর দাস, নারীর দাসত্বের শিকার। এটা খারাপ কি? শুধু কি নারীরাই চিরকাল পুরুষকে ছাড় দেবে???
পুরুষদের থেকে বেশি যে নারীর মেধা আছে, গুণ যোগ্যতা আছে, সে নারী হলেও কারো, বিশেষ করে পুরুষের, অর্থাৎ স্বামী দেবতার দাসী হতে পারে না। এই ঘিলু বিদ্যা জ্ঞান গবেট জাতি, পশুর অধম পুরুষের অর্থাৎ স্বামী দেবতার মাথায় যেন থাকে। তবে আমি দেশপ্রেমিক ভাষা সৈনিক, ড. ওয়াজেদ মিয়াকে স্যালুট করি। এই কথা তাকে বলছি না, বরং তার কর্মের জন্য লক্ষ কোটি অভিনন্দন জানাই। তিনি এমনই একজন জ্ঞানী গুণী পুরুষ।
কখনোই তার সুস্ত্রীকে শুধু ভোগের সামগ্রী বানিয়ে রাখতে চান নাই। মেয়ে মানুষ বা নারী ভাবেন নাই। ভেবেছেন সেও যেমন মানুষ, তার স্ত্রীও মানুষ। এবং একই সমপর্যায়ের অধিকার। একজন নারীর অধিকার ও পুরুষের অধিকার ভিন্ন জেন্ডার বিচার করে তিনি তার স্ত্রীর জীবন ও কেরিয়ার যুদ্ধের বাধা হয়ে দাঁড়ান নাই। এবং মূল্যায়ন করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই একজন ভালো মানুষ বলে, তার স্ত্রীর কর্ম জ্ঞান মেধা যোগ্যতার প্রতি তার সম্মান ছিল। কোন অনীহা অশ্রদ্ধা ছিল না নিজ স্বার্থ ভোগের জন্য।
এসব সমালোচনা বাইরের মূর্খ পুরুষরা করে। তারা ভাবে নারী স্ত্রী হয়। স্বামীর স্ত্রী হয় আর স্বামী তার সন্তানের বাবা হয়। মানেই স্ত্রীকে স্বামীর পা ধরে জীবন কাটানো চাই। এর বাইরে নারীর নিজস্ব অন্য কোন ভ্যালু ও পরিচয় থাকবে না। স্বামীর পায়ের নিচে ছাড়া অন্য কোন গণ্ডিতে তার পদার্পণ থাকবে না। কিন্তু শেখ হাসিনার স্বামীজি তা ভাবেন নাই। সম্মানীয় ড. ওয়াজেদ মিঞা, তিনি যে দেখা করতে পারেন নাই, একজন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বরং পরিবেশ পরিস্থিতির ব্যাপার। আর প্রধানমন্ত্রী চাইলেও সব পারেননা, এটা ওয়াজেদ মিয়া জানেন।
সমাজ রাষ্ট্র দেশের একজন প্রথিত যশা প্রধানমন্ত্রী তার স্ত্রী, তিনি নিজেকে নিয়ে নিজে থাকেন না। কোন রাষ্ট্র প্রধানই তা থাকতে পারেন নাই। বিশ্বের সম্রাট রাজা বাদশা এভাবে কত কত দিন স্ত্রীর সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় পান নাই, তার ইয়ত্তা নাই। রাষ্ট্র প্রধান হলে, সে নারী হোক পুরুষ হোক, একই তো কথা। পুরুষ আর নারীর জন্য ভিন্ন নিয়ম নয়। এখানে এটার প্রমাণসহ ছিল তার অহংকার গর্বের বিষয়। যে তার স্ত্রীই যোগ্য নেত্রী তার প্রিয় বাংলা ভাষার বাংলাদেশের। যে স্ত্রী তার এবং তার সন্তান পরিবার নিয়ে মুগ্ধ নাই, মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে না মূর্খের মতন। ব্যস্ত জন সাধারণের নিয়ে। সিডিউলকৃত কাজ বা দায়িত্বে ডুবে আছে। এটা ওয়াজেদ মিঞার জীবনের মূল্যবান প্রাপ্তি। যে হ্যাঁ প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীই।
সেখানে স্বামীরও অগ্রাধিকার নয়—সামির উন্নতিতে যেমন স্ত্রীর প্রাপ্তি। তাই স্ত্রী স্বামীর উন্নয়ন উন্নতির জন্য ত্যাগ সাধনায় বসেন। যোগিনী যোগ সাধনায় বসেন। এটাও মাননীয় ওয়াজেদ মিয়ার জন্য তেমন। মেধা পূর্ণ মেধা দীপ্ত যোগ্য নারী-পুরুষ সবার জন্য সমান। তার প্রিয় দেশের প্রকৃত দরদীজন প্রিয়তম স্ত্রীই প্রকৃত একজন একনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজ স্বার্থ না দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিলেন। আবার বলছি— এখানে কোন জেন্ডার লিঙ্গান্তরের প্রশ্ন নেই, মর্যাদাও নেই। স্বামী বলেও কথা নেই। এবং এটাকেই বলে প্রকৃত দেশ প্রেমিক। দেশের কাজে নিয়োজিত থাকা। আর এটাই হলো একটি দেশের উন্নতির লক্ষণ। এছাড়া পরিবার নিয়ে গলে পড়ে মুগ্ধ থাকার নাম দেশপ্রেমী, জন প্রতিনিধি প্রেমী, মানব দরদী হতে পারে না। একজন ভালো প্রকৃত লেখকও কিন্তু ভালো সংসারী হওয়া যায় না।
মানে সংসার সন্তান, স্বামী স্বামী করে বা স্ত্রী স্ত্রী করে, স্ত্রী অথবা স্বামীকে নিয়ে আহলাদে ফেটে পড়া, মেতে উঠা হয় না। যেমন হুমায়ূন আহমেদকে তার স্ত্রী গুলকেতিন, তার অসুস্থ শিশু সন্তানের দেখার দায়িত্ব দিয়ে, ঔষধ আনতে গিয়েছিলেন। ঔষধ নিয়ে বাসায় ফিরে দেখেন স্বামী হুমায়ূন লিখছেন, গভীর মন্ত্র মুগ্ধের মতো! আর লেখার সাথে বিভোর ইমেজ মিটিমিটি হাসছেন!! এদিকে তার শিশুটি খাট হতে গড়িয়ে পড়ে মেঝেতে মরে আছে!!! তো এটা যদি লেখক পুরুষের দোষ না হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বামীর সাথে দেখা না করায় দোষ হবে কেন?
চিরকাল কি ক্যারিয়ার উৎপাদনে শুধু নারীই স্বামীকে ছাড় দেবে? পুরুষুও স্ত্রীকে ছাড় দিতে শিখুক।
এভাবে নারীর মেধা মনননে পুরুষের সম পরিমাণ অথবা পুরুষের ছাড়িয়ে গেলেও কি পুরুষ স্বামী সেই স্ত্রীকে দাবীয়ে রাখবে?! স্ত্রীর হাতের মজাদার সেবা নেবেন, ভাত রান্না খাবেন!? এটা আমার বোধগম্য হয় না। এটা নিশ্চিত শিক্ষিত ড. ওয়াজেদ মিঞা, যিনি একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, ভাষা সৈনিক, নিশ্চয় চান নাই। চাইতে পারেন না নিজ মেধা জ্ঞান ধ্যান বিদ্যা পরিক্রমায় বুঝে শুনে দেখে যেতে পেরেছেন!!! প্রমাণ করে যেতে পেরেছেন, তার স্ত্রী দেশের প্রতি কিংকর্তব্যবিমূঢ় এটাই সান্তনা। মানুষ ভাবতে পারে এটা তার বেদনার। এটা তার অপমানের। না এটা তার পরিক্ষার উত্তম রেজাল্ট পাওয়া। অর্থাৎ আনন্দের।
যে তার স্ত্রী দেশের সাধারণ মানুষ, জনসাধারণের জন্য কতটা সঠিক। দায়িত্ব পালনে কতটা একনিষ্ঠ, ত্রুটিমুক্ত ও অটুট। আর তাকে স্বামী স্বামী করে ভজা ‘মানে তো জন সাধারণের ফাঁকি দিয়ে, পরিবারে সময় দেওয়া। পরিবার নিয়ে মুগ্ধ, বিনোদন জলসা করা। যেকোন রাজ প্রধানই করেছে, বলে ইতিহাস সূত্রে নাই। জলসা তারা রাজশাসকদের নিয়ে করলেও! কেননা শেখ হাসিনার পিতাও কিন্তু পরিবারে তেমন সময় দেন নাই। তার মানে এই নয়, পরিবারের বাইরের হয়ে গেছেন।
আমি এখন কার কথা বলছি না। তখন রাজনীতি করে পরিবার পরিজনদেরকে সমান দেখতে ও সময় দিতে কেউই পারেন নাই। এখনো একনিষ্ঠ দায়িত্ব পালন করতে গেলে সেটা পারা যায় না। এ রকম একজন নারীও করলে, সে পরিবারের বাইরের হয়ে যায় না। এই সেক্রেফাইজ পুরুষেরও থাকেত হবে। তবে ড. ওয়াজেদ মিঞার ঠিকই ছিল। তাই তিনি ঠিকই বুঝেছেন। জেনেছেন এবং সেক্রেফাইজও করেছেন। যে তার স্ত্রী এখন সার্বিক পর্যায়ের জনগণের কল্যাণার্থের। কারো একলার নয়।
সেই সূত্র ধরে চিরকাল স্বামীর গোলাম দাসীবাদী হওয়ার তো প্রশ্নই নাই। কিন্তু ড. ওয়াজেদ মিঞা সেটা বুঝেই চলেছেন, তাই তার আনন্দের ছিল। কারণ সাধারণ পুরুষের মতন তিনি লালসার আসামি সুখবাসে স্বার্থলোভী ছিলেন না। যে নিজেকে স্বামী স্বামী স্বামীত্তর দাবী নিয়ে মাননীয় শেখ হাসিনার উপরে চড়াও হবেন, হামলা করবেন। অথবা ফুলে ফেঁপে ভোম হয়ে থাকবেন। মান অপমান হবেন। কষ্ট নিবেন। যেহেতু তিনি দেশপ্রেমিক এবং ভাষা সৈনিক।
প্রকৃত দেশপ্রেমিক ভাষা সৈনিকরা ছিলেন ত্যাগী, ভোগী নয়। এটা যেন সাধারণ মানুষ মাথায় রাখে। সার্বিক পর্যায়ের মানুষ বুঝে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে। তারপরে ফেসবুকে বাজে পোষ্টগুলো ছাড়ে। আজে বাজে সমালোচনায় শামিল না হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে দৃষ্টি ফেরায়। যে একজন ভাষাসৈনিকের কন্যাও দেশের কম দরদীজন নন। যেমন বাপকে ব্যাটা, সিপাইকে ঘোড়া। সমালোচনা করার তো প্রশ্নই নাই কখনো বিরোধী দলের হলেও বা এখনও যারা বিরোধী দলের, তারাও নারীর কর্মকান্ডের উপরে হিসেব রেখে যেন কথা বার্তা বলা হয়। সোনাকে সোনাই বলতে হবে। ব্রঞ্চকে সোনা বললে তো আর হবে না?
এটা আমার জ্ঞান—ধ্যান বিদ্যা অধ্যবসায় এবং যুক্তি। অন্যের কথা তাদের, আমার কথা আমার। কেন সাধারণ পুরুষ নারী বুঝলেই, নারী দেখলেই, ভোগের সামগ্রী নারী, আর বংশ বিস্তারের জন্য নারী— সেটা ভাবতে যাবে?! ইচ্ছা হয় ... ... পিটাই।
এমন কটু হীন দৃষ্টি মন্তব্য সমাজের জ্ঞানী গুণী নারীর উপরে যারা রাখে। ইচ্ছা হল স্বাধীনতার জিনিস। এটা কেউ বেঁধে রাখা যায় না। নিয়ত্রণ করা যায় না। এটা যার যার নিজস্ব প্রলাপ বিনোদন যাই বলি না? মন মানসিকতার গণতান্ত্রিকতা।এটা বিশাল বড় একটা শক্তি। যে শক্তি কারো অধীনস্থের নয়। এবং নিয়ন্ত্রণের নয়। তাই আমার মতে নারী হলেও তার উপর অনধিকার চর্চা করা যাবে না। কোন নারী পুরুষ তাকে ছোট করে প্রসংগক্রমে আলোচনা সমালোচনা করা নিষেধ হওয়া প্রয়োজন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গতা ওসিলায় সকল নারীর জন্য বলছি।
এটা আমি জাতিসংঘের কাছে দাবী রাখছি। উল্লেখযোগ্য জ্ঞানী গুণী নারীকে বাধ্য রেখে, তার কাজের ডিষ্ট্রাব করা, ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। তবে নিশ্চয় এই জ্ঞান ধ্যান শিক্ষা মহা পণ্ডিত ড. ওয়াজেদ আলী মিঞার মধ্যে অটুটু ছিল। সাধারণ মানুষ যা ভাবে তা নয় আল্লাহ পারমানবিক বিজ্ঞানী এবং বুদ্ধিমত্তবীর, ড. ওয়াজেদ মিঞাকে ঐপারে শান্তির সাগরে ভাসিয়ে ভরিয়ে রাখুন। এবং বেহেশত নসিব দান করবেন ইনশাল্লাহ। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি বিজ্ঞানী, পরমাণবিকবিদ।
নারী জাতির শীর্ষ উন্নয়নেরও পথিকৃত বীর, এটা কেউ জানে না। আজ আমার থেকে এই লেখার মাধ্যমে জেনে নিন। আর আমিও আজ তার ওসিলায়, আমাদের নারীদের এই গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রয়োজনীয় কথাটা ব্যক্ত করতে পারলাম, এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞ। মূল ভাষাসৈনিক, ভাষাসংগ্রামী, যিনারা ভাষা আন্দোলনে বিজয়ী হওয়া মাত্রই আবার স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।
তিনারা তো নাম ডাকের প্রতি লালায়িত ছিলেন না। বরং কাজের প্রতিই বিশ্বাসী ছিলেন। তাদের কাজই তাদের অমর করে রাখবে। ড. ওয়াজেদ মিঞার পূর্বে সাধারণত দেশপ্রেমিক প্রচার বিমুখ মানুষের সংখ্যা আরো বেশি ছিল। তাদেরই তো কথা ‘বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। যখন বালক ক্ষুদিরাম, যুবক বাঘাযতীন, নেতাজি সুভাষরাকাজ করেছিলেন।
তিতুমীর কাজ করেছিলেন। জাতির প্রতি অবদান রাখা, এইসব কাজের কোন বিনিময় হয় না। আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং জাতীয় কোন সম্মান তাদের লাগবে না। এমনিই তারা রাজনৈতিক শাহেনশাহ! রাজনৈতিক বাগানে চির ওমর রাজনীতিবিদ। এই যে দেখুন” আমাদের দেশ ... পূর্ব থেকেই যুগে যুগে এক টার পর একটা জটিলতায় আবদ্ধ থাকা বা আটকানোর ফলে, দেশের অনেক কিছুই বিশেষ করে তখনকার বিশেষ ব্যক্তিদেরকে এখনও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তাই বহুকিছু সঠিকরূপে উদঘাটনে পিছিয়ে আছে। তাদেরকে নেটে উইকিপিডিয়াতে পাওয়া যায় না বা যাবে না।
যেমন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের আইন সংবিধানের কে প্রবর্তক। তাকে কি আর কেউ মনে রেখেছে? মনে করে? অর্থাৎ কার মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানে আইন প্রতিষ্ঠা হয়েছে বা কার হাত ধরে বাংলাদেশের এই আইন বিভাগ কোর্ট সুপ্রীম কোর্ট ইত্যাদি চালু হয়েছে? এর পূর্বে তো ভারতে ছিল, সেটা কোন হাত দিয়ে এই দেশে স্থাপিত হলো? আসলে তো যিনি এনেছিলেন, তৈরি করেছিলেন প্রথম, তার মানে তিনিই প্রথম প্রতিষ্ঠাতা, তিনি প্রথম আইনজ্ঞ।
আমরা সঠিক রূপে কলকাতার আণীয়া মাদ্রাসার সব কিন্তু জানি না। জানি সেটা আন্দাজে, উইকিপিডিয়ার মানুষ বা বর্তমান সাংবাদিকগণ যে যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন সে সেইভাবে তৈরি করে মানুষকে বিনোদন দিচ্ছে। মানুষ নাই মামার থেকে কানা মামাই ভালো। সেভাবে যা পাইছে তাই জানছে। কিন্তু সেটা তো পুরোপুরি সঠিক নাও হতে পারে। কে আছে প্রমাণ করবে? এবং সঠিক টা খুঁজে বের করবে? কেউ নাই। নিজের ভাত খেয়ে বনের মোষ কেউ তাড়াবে না। তাই অতএব যার যে প্রাপ্তি সেটাও তাকে দিতে হয় না আটকিয়ে রেখে। যার যে যোগ্যতা সেই যোগ্যতা মতোও তাকে কাজে লাগাতে হয় হিংসা না করে। রাজনৈতিক ক্ষমতা সব ক্ষেত্রে সব জায়গায় চলে না।
মেধা যোগ্যতা, কর্মের ক্ষমতা, আর আল্লাহ প্রদত্ত ঐশ্বরিক বিদ্যার মূল্যায়ন অবশ্যই রাখতে হয়। না করা মানে রাষ্ট্রের ক্ষতি। অস্ত্র শক্তি আর জ্ঞানের শক্তি অবশ্যই আলাদা। দুটোই শক্তিশালী। দুটোরই মূল্য আছে। আমি রাজনৈতিক মানুষের ছোট করছি না। তাদের কাজ তাদের মূল্য তাদের মধ্যে। কোন সেক্টরি কম নয় এটা মাথায় অবশ্যই রাখতে হবে। আধ্যাত্মিক বিদ্যা, সার্টিফিকেটধারী এই বিদ্যা অস্ত্র দুটোই সমান, সেটা বিশ্বাস করতে হবে।
তার মানে রাজনৈতিক অস্ত্রকে আমি ছোট করছি না। মনে রাখতে হবে হাজার রকমের অস্ত্রের হাজার রকমের ধার যদিও কিন্তু কর্ম একই, শক্তিও এক। কারো থেকে কারো শক্তি কম নয়, তাই ছোট করে দেখার এবং তুচ্ছ ভাবার সুযোগ নাই। অতএব সবাইকে মূল্যায়ন করাটাই জরুরী।
এখানে যা বলা হলো কারো বুদ্ধি দেওয়ার জন্য নয়, ছোট করার জন্যও নয়। জানা প্রয়োজন তাই লিখতে হলো। কাজ করলেই তো ভুল হয়। ভুল আছে সংশোধনও আছে। কিন্তু একেবারে কিছু না করে ফিলে রাখলে, সেই কালেকশনটা তো হারিয়ে যায়। ভুল তথ্যও উদঘাটন হয় না। আবার কোন তথ্যের হদীসও নাই বা রাখতে পারে নাই। কিন্তু সেই কাজগুলোও তো করা দরকার। হিংসা বিদ্যা দলাদলি পাঠাপাঠি এই সমস্ত বাদ দিয়ে, স্বাধীন দেশের সবাই সবার হয়ে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। দুদিনকার দুনিয়ায় ধনসম্পত্তির পাহাড় না করে, সৃজনশীল ভালো কাজ করাটাই আমার মনে হয় এই দেশের জন্য জরুরী। তার মানেই বাকি রয়েছে বহু কাজ। এক জীবনে সব কাজ কি করা যায়?
লেখকও এক জীবনে তার সবকিছু লিখতে পারে না। বারবার রাজা চেঞ্জ, রাজ্যের অবস্থা হবে কি? প্রজাদেরই হবে কি? এখনো স্বাধীন দেশেও নানান দলের ক্ষমতার আঘাতে, স্বার্থ ঠুকাঠুকির জন্যও, অনেক তথ্য মানুষ অনেক বিষয়ে তথ্য কালেকশন পুরাপুরি হয়নি। সবাই তো আর নেটে নাই। নেটে যিনি নাই, তিনিও তো কাজ করেছেন? অতএব তার তো অধিকার আছে ইতিহাসে স্থান পাওয়ার। কিন্তু দেশে নতুন উৎপাদনকৃত ঠুনকো দেশপ্রেমিক, ভঙ্গুর ও শুটকে হাতুড়ে রাজনৈতিকদের একটা সময় যাচ্ছে। আর তাতে আসলরা পিছিয়ে পড়ছেন।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তারা কেবল তাদের ব্যক্তি স্বার্থেই মত্ত। ঐতিহ্যের প্রতি সব উদাসীন। যার জন্য পিছনের সম্মানীয় উনারা হারিয়ে যেতে বসেছেন। তবে এই আপডেট ইন্টারনেটের যুগে ঐ ক্ষতি পূরণ করায় হবে নতুন উদ্যোক্তা প্রজন্মদের কাজ। এখন সময় এসেছে তাদেরই খুজে বের করা। কিন্তু এর মধ্যেও বিরূপ মতভেদ সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে। যাক এ বিষয়ে কথা আর নয়। পূর্বে যে বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম সেটাই বলি। ড. এম. এ ওয়াজেদ মিঞা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। বিশিষ্ট দেশ প্রেমিক ভাষাসৈনিক ও পরমাণূ বিজ্ঞানী।
তার ছোট একটা জীবনে বহু কাজ করায় বহু ব্যস্ততায় সিংহভাগ সময় বাহিরে থেকেছেন। পরিবারে সময় দিতে পারেন নাই। আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তীতে পারেন নাই। এটা কোন বিষয় নয়। দেশ রাষ্ট্র সমাজ উন্নয়নে নারী পুরুষ বৈষম্য ভূলে, সেই সাথে স্ত্রীকে নারী নয়- মানুষ ভেবে, মানিয়ে নেওয়ায় বাঞ্ছনীয়। নারীরাও জ্ঞান অর্জনের জন্য শুধু চীন দেশে যাবেন। জ্ঞানের জন্য, দামি কাজ করার জন্য, পিছনের বাজে কথায় কান না দিয়ে, সব কিছু সফলভাবে করবেন। আর ডক্তর ওয়াজেদ মিয়ার মতন, সমস্ত জ্ঞানীগুনি বুদ্ধিদীপ্ত নারীর হাজবেন্ড স্বামী, অবশ্যই হবেন।
এদেশে নারীরা যেন, বিশ্বের নারীরা যেন, একদম, ইতিহাস ঐতিহ্য, পুরুষের সমান সমান জয় লাভ করেন। আমি এটা বিশ্বের সকল নারীদের উপরেই চাই। আল্লাহ এই সমাজের সবাইকে সুন্দর বুঝ দান করুন, আমীন।
কলমে- সৈয়দা রাশিদা বারী
0 মন্তব্যসমূহ