মৃতের স্বজনরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত একই এলাকার মণ্ডল হোসেনের ছেলে নয়ন হোসেনের সঙ্গে ভারতি রানীর (৪৫) পরকীয়া ছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় সালিশ বৈঠক হয়।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভারতি রানীর ছোট ছেলে তপু দাস বাড়িতে ফিরে নয়ন ও তার মাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় নয়নকে ধরার চেষ্টা করলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভারতি রানীকে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। বুধবার দুপুরে সবার অগোচরে ভারতি ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। এ ব্যাপারে নয়নের বিচার দাবিতে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তারা।
তারা আরও জানান, ভারতি রানীর স্বামী সনজিৎ দাসকে কয়েক মাস আগে পরকীয়া প্রেমিক নয়ন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পরকীয়ার জেরেই বিধবা ওই নারীর স্বামী কয়েক মাস আগে মারা যান বলে জানা যায়। তারা নয়নের বিচার দাবি করেন।
কুমারখালীর থানার ওসি মোঃ আকিবুল ইসলাম জানান, মরদেহ রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ