দৌলতপুর থানার ওসি প্রবির কুমার বিশ্বাস বলেন, রোববার মেয়েটিকে আদালতে হাজির করা হবে। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।
এলাকাবাসী জানায়, শেখ হুমায়ুন কবির ৫ জুলাই মারা যান। সকালে তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরা তাকে ডেকে তুলতে না পেরে নিশ্চিত হন যে তিনি মারা গেছেন।
পরবর্তীতে এলাকার লোকজন এসে মৃত্যু ব্যক্তিকে দাফন করেন। কিন্তু সুস্থ লোক রাতে খাবার খেয়ে ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়া এবং গোসলের সময় তার বাম হাতে দুটো ছিদ্র দেখে কেউ কেউ সাপে কামড় বলে সন্দেহ করেন।
এ অবস্থায় মৃতের ছোট মেয়ে সুমাইয়া ১২ জুলাই দৌলতপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে বাবার মৃত্যুর জন্য নিজেই দায়ী বলে জানান।
সুমাইয়া পুলিশকে বলেন, আমার বাবকে আমি মেরেছি। রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট দিয়ে এবং পরে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করি। বর্তমানে সুমাইয়া ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, আমরা তার পরিবারের লোকজনকে ডেকেছিলাম। কেউ কেউ বলেছে সে মানসিক প্রতিবন্ধী। কিন্তু তার বড় ভগ্নীপতির সন্দেহ হওয়ায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। রোববার আদালতে হাজির করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ