বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বৃষ্টির মধ্যেই কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে পুলিশের দেয়া ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত অবস্থান নিতে দেখা যায় তাদের।
শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। আর আন্দোলন শুরুর পর ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিভিন্ন দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তেমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করেছেন দেশের আলোচিত ইউটিউবার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও অভিনেতা সালমান মুক্তাদির।
এ অভিনেতা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কোটা একটি কেলেঙ্কারি। এটা সবসময়ই হবে। আর এটা লজ্জাজনক যে, বাংলাদেশ নিজেই নিজের ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে। এত অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব। সংশ্লিষ্টদের উচিত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া। লাঠি, ব্লকেড ও ট্যাঙ্ক দিয়ে অপরাধীদের মতো তাদের সঙ্গে আচরণ করা না।
এছাড়া সবশেষ তিনি লেখেন, ‘আমাদের মন্ত্রী-নেতারা তো বসে আছেন আর আদেশ পাঠাচ্ছেন। তার থেকে বরং দেশের জন্য ভালো একটা পরিবর্তন আনা। যে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে সবাই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের সব কোটা বাতিল করে সরকার। এবার সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা।
0 মন্তব্যসমূহ