জানা যায়, গ্রামের ভিটায় ৩ বিঘার ফলের বাগান ও বিলে ৫ বিঘা জমি করেছেন। এছাড়াও ঢাকার ইব্রাহিমপুর ১টি ফ্লাট এবং মিরপুর ১৪ এলাকায় একটি ফ্লাটের মালিক তিনি। তবে গ্রামে থাকেন না শাহাদত। সিংড়া পৌর শহরের উপশহর এলাকায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ৮ শতক জায়গা এবং সরকারপাড়া এলাকায় ৫ শতক জায়গার মালিকও তিনি। এ ছাড়া রয়েছে নামেবেনামে আরও অনেক সম্পদ। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানান, চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে শাহাদাত ছিলেন পঞ্চম। অন্য ভাই-বোনদের আর্থিক অবস্থা ভালো না হলেও তার বিত্ত-বৈভবের প্রমাণ মিলেছে এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে। আর সম্প্রতি তার মেয়ে শারমিন আক্তার ওরফে শসীরও ঢাকার পাসপোর্ট কার্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করেন শাহাদত। এর আগে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কমরপুর গ্রামের বেনজির আহমেদ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে র্যাবে হাতে গ্রেপ্তার হলে অনেক অর্থ খরচ করে শাহাদাত তার জামিন করান।
এ ব্যাপারে তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, শাহাদতের চাকরি শুরু কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে। এরপরে কুমিল্লা, রাজশাহী এবং বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে চাকরি করেন বলে জেনেছি। তার সিংড়া শহরে তিনটি জায়গা আছে, ঢাকাতে বাসা আছে। একজন নিরাপত্তাকর্মী হয়ে কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ