নিহত জোবেদা ওই গ্রামের মৃত ছোলেমান আলীর স্ত্রী। ঘটনার পর অভিযুক্ত রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিধবা জোবেদা তার একমাত্র মেয়ে সালেহাকে আড়াই বছর আগে একই গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাকে ঘর জামাই রাখেন। বিয়ের পর থেকেই রাসেল নানান কারণে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
বুধবার সকালে রাসেল কামলা দিতে অন্য গ্রামে যায়। দুপুরে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ভাত রান্না করতে দেরি হওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে মারপিট শুরু করলে মেয়েকে রক্ষায় এগিয়ে যান জোবেদা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল তার শাশুড়ির গলায় লোহার ধারালো বেড়ি ঢুকিয়ে দেয়। শ্বাসনালীতে বেড়ি আটকে গিয়ে গুরুতর আহত হন জোবেদা। স্থানীয়রা তাকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, রাতেই নিহত জোবেদার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক রাসেলকে গ্রেপ্তারে অভিযানও শুরু হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ