তাইতো ইমাম জয়নুল আবেদীন (রাঃ) বলে গেছেন-
মোহররমের চাঁদ এলো ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়।
ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা তারি মাতম শোনা যায়।।
কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহুঁশ হলো কারবালায়।
বেহেশতে লুটিয়া কাঁদে আলি ও মা ফাতেমায়।।
যে গলায় চুমু খেতেন আল্লাহর হাবীব নবী মোস্তফায় (সাঃ)
কিভাবে সে গলাতে নিষ্ঠুর শিমর তলোয়ার চালায় !
কবি নজরুল মোহররম কবিতায় বলেছেন-
মোহর্রম্! কারবালা! কাঁদো ‘হায় হোসেনা!’
দেখো মরু-সূর্যে এ খুন যেন শোষে না!
কবি মীর মোশারফ হোসেন তার বিষাদ সিন্ধুতে বলেছেন-
বিশ্বাসী না হইলে নিরাপদের সুখ ভোগ করা যায় না, দুঃখ ভোগ না করিলে সুখের স্বাধ পাওয়া যায় না।
মুহররমে করনীয়-
১. ১০ই মুহররম আশুরার দিন রোজা রাখা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে এ দিন রোযা রাখতে চায় সে রাখুক। যে না চায় না রাখুক।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫৯২
২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ.
আশুরার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর নিকট প্রত্যাশা রাখি, তিনি পূর্বের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেবেন।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২
৩. দশ তারিখের সাথে মিলিয়ে আগে-পরে আরো দুটি রোযা রাখা। নয়, দশ ও এগার সর্বমোট তিনটি রোযা রাখা। কারণ, পুরো মুহাররম মাসব্যাপি রোযার কথা তো সহীহ হাদীসেই আছে।
-(দ্রষ্টব্য : ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার রাহ. ৪/২৪৬)
৪. বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু জর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করি, ‘হে আল্লাহর রসুল, কোন বাহন ভালো? রাতের কোন অংশ ও কোন মাস সর্বোত্তম?’ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে বাহনের দাম বেশি, সেটি বেশি কল্যাণকর; আর রাতের সর্বোত্তম অংশ হলো মধ্যভাগ; সর্বোত্তম মাস আল্লাহর মাস, যাকে তোমরা মহররম বলে ডাকো।’
-(আস-সুনানুল কুবরা ৪২১৬)
৫. মহররম মাসে কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা, দরুদ পাঠ ইত্যাদি বেশি বেশি করা উচিত। তবে মহররম মাসকে কেন্দ্র করে শরীর রক্তাক্ত করা শরিয়ত সম্মত নয়।
0 মন্তব্যসমূহ