জানা গেছে, শুরু থেকেই নিজেদের মতো করে কোটা সংস্কার আন্দোলন করছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলন জোরদারভাবে না করায় সমন্বয়কদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, ঢাকার সঙ্গে সমন্বয় করে আন্দোলন করা। তবে রাবি সমন্বয়করা একেকদিন একেক কর্মসূচি দেন। কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবার কোনোদিন ক্যাম্পাসের গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি। এমন ‘নমনীয়’ আন্দোলনে ফেসবুকেও রাবির আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এই ধারাবাহিকতায় কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মেহেদী সজিব।
আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, আমি মেহেদী সজীব। কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। শুরু থেকে রাবিতে আমরা কয়েকজনে সমন্বয় করে আন্দোলন করছিলাম। শেষে মূল সমন্বয়কের সংখ্যা দাঁড়ায় চারজনে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমার সঙ্গে সমন্বয় না করেই বাকিরা ১০ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক পরিষদ গঠন করেন। এরপর আমাদের ব্যানার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জাগে। প্রায় সারাদেশে এক ব্যানারে আন্দোলন হচ্ছে, অথচ রাবিতে কেন ভিন্ন ব্যানারে হচ্ছে? যদিও এ নিয়ে আমার আগে থেকেই আপত্তির জায়গা সমন্বয়কদের জানিয়েছিলাম। তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে নিজেদের মতামতকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন।
মেহেদী সজিব আরও লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলন হচ্ছে, সেখানে সারাদেশের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সমন্বয় করতে না পারার কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ‘কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়। এমতাবস্থায় রাবির সঙ্গে সারাদেশের সঠিকভাবে সমন্বয় হচ্ছে না বলেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন। শিক্ষার্থী সমাজের মনোভাবকে শ্রদ্ধা করে আমি উক্ত কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলাম।
0 মন্তব্যসমূহ