সোমবারের (১৫ জুলাই) হামলায় ছাত্রলীগের ৫০০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে দাবি করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিভিন্ন হলের অন্তত ১০০ টির বেশি রুম ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, যারা কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করা পর্যন্ত ছাত্রলীগ মাঠ ছাড়বেনা।
এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের চতুর্মুখী হামলায় প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন। সোমবার বেলা তিনটা থেকে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। তারপরই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশের প্রত্যেক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম।
নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের এনে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর থাকার পরও বহিরাগতরা কীভাবে হামলা করে? সরকার সহিংসভাবে এই আন্দোলনকে দমন করতে চাইছে। কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা বলতে চাই অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্র সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
সূত্রঃ চ্যানেল ২৪
0 মন্তব্যসমূহ