আমরা যে সংকট সময় থেকে বের হয়ে এসেছি।এ কৃতিত্ব কেবলই আমাদের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের।তবে সংকট আমরা পাড় করেছি মনে হলেও বিভিন্ন দলের তৎপরতায় মনে হচ্ছে নতুন সংকট আমাদের সামনে।এ যুব সমাজই পারে আগাছা নির্মূল করতে। তারাই পারে একটা দেশের নব জাগরণ ঘটিয়ে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে।
তাদের মধ্যে কোন লোভ, প্রতিহিংসা থাকে না --- থাকে না বাড়ি গাড়ি করে আঙুল ফুলে কলা গাছ হবার আকাঙ্খা।থাকে শুধু দূর্গম স্পৃহা পরার্থপরতায়,থাকে সত্য, ন্যায়ের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা, থাকে সকলের মঙ্গলের নেশা।কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেভাবে রাস্তা বা ভবন পরিস্কার করছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে এভাবেই পুরো দেশ নির্মাণ করুক। আমরা গর্বিত হই এসব সন্তানের জন্য।
জনগণ যেভাবে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছে প্রতিটি কাজে স্বীকৃতি দিয়ে, তা ব্যস্ততম সড়কে গিয়ে দাঁড়ালেই বোঝা যায়।যেখানে জ্যাম থামে না সেখানে আজ এক সেকেন্ড জ্যাম নেই।জনগণকে দেখেও বোঝা যাচ্ছে তৃপ্তি থাকলেই এভাবে নিয়ম মেনে নেয়া যায়।
এভাবে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করুক শিক্ষার্থীরা দেশ।দূর করুক দূর্নীতি, দুঃশাসন, বুঝিয়ে দিক ভালবাসায় সব সম্ভব।একমাত্র যুবসমাজই পারে সুস্থ সমাজ গড়তে, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়তে।
সাবাস বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতৃত্ব--- সাবাস সোনার বাংলার শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অভিনন্দন জীবন বাজি রেখে ৩২ ঘন্টা অনশন সার্থক করা ছয় সমন্বয়ককে।
১. মোঃ নাহিদ ইসলাম
২. মোঃ সারজিস আলম
৩. হাসনাত আব্দুল্লাহ
৪. মোঃ আবু বাকের মজুমদার
৫. আসিফ মাহমুদ
৬. নুসরাত তাবাসসুম
সহ কোটা আন্দোলন কে কেন্দ্র করে ন্যায্য অধিকার আদায়ে আরো যারা প্রাণ উৎসর্গ করেছে আমরা তোমাদের ভুলবো না।ভবিষ্যৎ প্রজন্মের রক্তে, মগজে, স্বাধীন বাংলার দিকে দিকে ছড়িয়ে দেব তোমাদের জয়গাঁথা।এ জাতি জানবে বীরত্বের আরেক নাম আবু সাঈদ।
কলমে - সামিরা খাতুন পাশা
0 মন্তব্যসমূহ