সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ।।BDNews.in


গোলাম সরোয়ার, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় জেলা পরিষদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তিতে  অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান এর বিরুদ্ধে। 

২০২৩ সালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর পূর্বের লিজ বাতিল করে সদর উদ্দিন তার ম্যানেজারের নামে উল্লেখিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিয়ে দোকান নির্মাণ করেন। 

৩১ আগষ্ট শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে সমসপুর যাবার প্রধান সড়কের বুজরুক মির্জাপুর এলাকায় ৩০ বছরের বন্দোবস্ত বাতিল করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২০ টি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন সদরউদ্দিন খান। জানা যায়  ৫/৬ লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে  একেকটি দোকানের পজেশন। 

ভুক্তভোগী রজব আলীর ছেলে বাবুল আক্তার জানান, ৩০ বছর যাবত  খোকসার  বুজরুক মির্জাপুর মৌজার আর এস ৬১৮ ও ৬১৯ নং দাগের ২৭০ ফুট সম্পত্তি তার বাবার নামে  কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ থেকে বন্দোবস্ত ছিলো। জেলা পরিষদের বন্দোবস্তের বাৎসরিক  খাজনা নিয়মিত  পরিশোধ করলেও কোন নোটিশ ছাড়া ২০২৩ সালে তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান তাদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তিতে বালু ভরাট কাজ করেন। এসময় তারা জেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন  তার ম্যানেজার গনেশ চন্দ্রের নামে উল্লেখিত ২৭০ ফুট সম্পত্তির মধ্যে ১৯৬ ফুট সম্পত্তি  বন্দোবস্ত নিয়েছেন।

 তারা বিষয়টি নিয়ে সদরউদ্দিন খানের কাছে গেলে হেলথ ইনষ্টিটিউটে তাদের পরিবারের  একজনকে চাকরি ও উল্লেখিত সম্পত্তিতে নির্মিত মার্কেটের সম্মুখভাগে  দুইটা দোকান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরবর্তীতে সদরউদ্দিন তাদের সাথে কোন কথা রাখেননি এবং বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানান। আওয়ামীলীগ সরকারের মদদপুষ্ট সদরউদ্দিন খান অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় কোথাও অভিযোগ দেবার সাহস পাননি তারা। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে সদরউদ্দিন খান গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের বন্দোবস্তকৃত  সম্পত্তি সদরউদ্দিন খানের নিকট থেকে ফিরে পাবার জন্য তিনি ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বরাবর  দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানান। 

বিষয়টি জানতে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী জয়নাল আবেদীনের নিকট মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ