জেনএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলার শ্রেণি কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় জানালা দিয়ে দেখা যায় ব্লাক বোর্ডের জায়গায় দিশা স্বেচ্ছাসেবী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক কল্যাণ সংস্থা ও সার্বিক সহযোগিতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যানার লাগানো এবং টেবিলের উপর বেশ কিছু ফাইল পত্র রাখা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান মো. মখছেদুর রহমান শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষ এনজিও'র কাছে ভাড়া দিয়ে আর্থিক সুবিধা ভোগ করছেন।
বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে কোনভাবেই মুখ খুলতে রাজি হননি। অপরদিকে প্রধান শিক্ষকের নিকট শ্রেণিকক্ষে এনজিও'র ব্যানার ও টেবিলে ফাইল রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর দেননি। এবং ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে গেলে বাধা সৃষ্টি করেন। এবং এক পর্যায়ে তিনি বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এনজিও'র লোকজন চতুর্থ তলায় উঠে মিটিং করতে দেখা যায়। এটা বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় বলে জানেন তারা। শ্রেণী কক্ষ এনজিও'র কাছে ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে উল্লেখ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাজমুল হক জানান, তিনি কুমারখালীতে সদ্য যোগদান করেছেন যেকারণে বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ