লক্ষ্যে পৌঁছাতে কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিতেই হয়। ওজন কমানোর জন্য অভিনব অনুশীলনের প্রয়োজন হয়। সঠিক নিয়মে ওজন কমানোর জন্য, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, একটি ব্যায়ামের রুটিন থেকে অন্যটিতে যাওয়ার পরিবর্তে, তিনটি ওয়ার্কআউট-স্ট্রেচিং, কার্ডিও এবং স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করা ভাল। এই তিনটি মিলে একটি সম্পূর্ণ ওয়ার্কআউট প্রোগ্রাম তৈরি হয়।
এমনটাই করেছেন এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। নাম নোনু। তিনি ১৩০ কেজি থেকে কার্ডিও করে বর্তমানে ৬৪ কেজিতে এসে গিয়েছেন। সেটাই তিনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। তারপর থেকেই নেটিজেনের প্রশ্নের বন্যা বইছে। কী খেয়ে আর কোন কোন কার্ডিও করে ওজন কমিয়েছেন নোনু? তিনি কীভাবে এত ওজন কমিয়েছেন, তা জানালেন।
নোনু বলেন, ‘ওজন কমাতে গেলে কার্ডিও জানাটা খুব দরকারী। আমার ওজন ছিল ১৩০ কেজি, যখন আমি প্রথম কার্ডিও করা শুরু করি। বর্তমানে আমার ওজন ৬৪ কেজি। আর এই সবটার জন্য একমাত্র প্রয়োজন কার্ডিও। কারণ কার্ডিও বা কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে হৃদস্পন্দনকে বাড়িয়ে তোলে এবং আপনার ফুসফুসকে সুস্থ করে তোলে। আপনার শ্বাস -প্রশ্বাসের হার বৃদ্ধি পায়, এর জেরে ফুসফুসের কোষগুলি শক্তি উৎপাদন করতে এবং ক্যালোরি বার্ন করতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগে একটুও রাস্তা হাঁটতে পারতাম না। কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই আমি ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। একদিন জোর করে ৭০০ মিটার পর্যন্ত হেঁটেছিলাম। তারপরের দিন এক কিলোমিটার হয়ে গিয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। হাঁটা, দৌড়ানো, লাফান দড়ি খেলা,এই সব কিছু ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা। তাছাড়া এই ধরনের ব্যায়াম, ওজন কমাতে সাহায্য ছাড়াও, কার্ডিওভাসকুলারের সহনশীলতা এবং ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কার্ডিও ব্যায়াম করার প্রধান এজেন্ডা হল সারা দিন আরও সক্রিয় থাকা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিট কার্ডিওভাসকুলারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কআউট করা উচিত।
0 মন্তব্যসমূহ