একটা সময় পর পর ছবি কেবল তাঁদের ঝুলিতেই। কথায় বলে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের পর বাংলার জনপ্রিয় জুটি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কোথাও গিয়ে কী এই জুটির সমীকরণই শেষ…! একটা সময় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছিল ভক্তরা। তবে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কতটা মজবুত ছিল, তা জানতে মরিয়া ভক্তরা। এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
তাঁরা কি সত্যি প্রেম করতেন? একবার এই প্রশ্ন করাতে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, “লোকে তো তাই মনে করতেন। তবে আমি বলল ২৪ ঘন্টা একটা মানুষের সঙ্গে থাকলে, কাজ করলে, একটা ভালবাসা, নির্ভরতা তো তৈরি হয়। তবে কি এই ভালবাসা প্রেম নয়? এই উত্তর আমি দেব না, এই প্রশ্নের উত্তর রহস্যই থাক। মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াক যুগ যুগ ধরে।” তাঁদের জুটি সকলের চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে তাঁদের পর আর টলিপাড়ার জুটি সেভাবে কেন তৈরি হচ্ছে না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, এখন তবে কোথায় থাকছে খামতি? উত্তর দিয়েছিলেন নিজেই। সাফ জানিয়েছিলেন কোথাও গিয়ে যেন আন্তরিকতার অভাব। হৃদয়টা থাকছে না। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সেদিন রাখঢাক না করেই বলেছিলেন, প্রচুর পরিশ্রমের ফল এই জুটি। প্রচুর মানুষের ভালবাসা আছে। প্রচুর মানুষের আশীর্বাদ রয়েছে। প্রচুর মানুষকে এই জুটি প্রেক্ষাগৃহে নিয়ে গিয়েছে। দর্শকদের দেখেছি তো, তাঁরা কাঁদছেন, হাত দিয়ে ছোঁয়ার জন্য ডাকছেন।
তিনি বলেন, “এটা রাতারাতি তৈরি হতে পারে না। সেখানে তো আমাদেরও ১০০ শতাংশ কমিটমেন্ট রয়েছে কাজের প্রতি। শুধুমাত্র ক’টা হোডিং, কটা পোস্টারে তো সীমাবদ্ধ নেই। কাজের প্রতি ভালবাসাটাই আসল। এত বছরেও এই কমিটমেন্টটা কখনও নষ্ট হয়নি।” এই জুটি ভেঙে যে কী জীবনে শূন্যতা নেমে আসে ঋতুপর্ণার? না, সেভাবে নয়, তবে সংগ্রামটা ছিল। ঋতুপর্ণার কথায়, সংগ্রাম আগেও ছিল, এখনও রয়েছে। তবে একসঙ্গে কাজ করার সংগ্রামের সংজ্ঞাটা একটু অন্যছিল। তখন একসঙ্গে প্রচুর ছবি করা। সকাল থেকে রাত হয়ে, কখন যে ভোর হয়ে যেত বুঝতেই পারতাম না। সেখানে কোনও মেকআপ ভ্যান নেই…। আজ সময়টা অনেক পাল্টে গিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ