ভাষা সৈনিক কন্যা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও সংগঠক সৈয়দা রাশিদা বারীকে সাহিত্যের সকল শাখায় একনিষ্ঠ অবদান তথা আধ্যাত্মিক ইসলাম বিষয়ক অতুলনীয় রচনায় সুপন্ডিত সুদক্ষ হওয়ায়, গুণীজন সম্মাননা ২০২৪ প্রদান ও শামস তাবরিজি উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং অতিথিবৃন্দের মাঝে ক্রেস প্রদান করা হয়।
এ সময় শাহ সুফি মোঃ নকছের আলী আল মাজভান্ডারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক কুমারখালীর সাবেক পৌর মেয়র শিল্পপতি নুরুল ইসলাম আনসার প্রামানিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক কে এম আলম টমে, বগুড়া ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবুল হাসিম, ভারতীয় সাংবাদিক সম্পা দাস, রাজবাড়ী মহিলা পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবি সাহিত্যিক সৈয়দা তানিয়া সিমি, রাজবাড়ী মহিলা পরিষদের শিক্ষা সংস্কৃতিক সম্পাদিকা কানিজ ফাতিমা, কুমারখালী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ফাবিহা ইবনাথ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তাদের দাবী, সৈয়দা রাশিদা বারী কুমারখালীর মেয়ে, সে তার সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক যোগ্যতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও নানান সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন। তার যোগ্যতা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের সকলের দাবি তাকে যেন সাহিত্যের উপর জাতীয় স্বীকৃতি সম্মাননা ও পুরস্কার যতগুলো আছে- সবগুলোতে এ ভূষিত করা হয়। কেননা তিনি সরকারী সবগুলো সম্মাননা পাবার যোগ্য মানে সুযোগ্য। সাহিত্য সাংস্কৃতি ছাড়াও বহুধাগুণে গুণান্বিত তিনি।
এছাড়াও, ভাষা সৈনিক কন্যা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও সংগঠক সৈয়দা রাশিদা বারীকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন যাকজমকভাবে ভারতীয় একটি মিডিয়া- সৃষ্টি টিভির পক্ষ থেকে ‘ভাষা বিজ্ঞান’ উপাধি ও তৃতীয় দিন আন্তর্জাতিক গাউছিল আজম সাংস্কৃতিক একাডেমীর পক্ষ থেকে ‘রাবেয়া বসরী’ সম্মাননা ও উপাধি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ, এই বাংলাদেশে কি সামগ্রিক বিশ্বেও এমন কোন নারী লেখক নাই যে, এক জনমে জীবনের এতো স্বল্প সময় পরিসরে, সাহিত্য অবদানে বিস্তর জায়গা লাভ করেছেন। সাহিত্য জগৎতে তিনি সাহিত্যের রানী, সাহিত্য সরস্বতী, সাহিত্য রত্নর মতোই আসন লাভ করেছেন।
এবার ২০২৪ এর পুরস্কার গুলোও উপাধি সম্পন্ন তার বিপুল সাহিত্য অবদানের জন্য ঠিক আছে বটে। এতো ব্যাপক অর্জন করেছেন তিনি, যা অহংকার করার মতোই কিন্তু তার কোন গর্ব অহংকার নাই। আরো উল্লেখ্য যে এই গুণী মানুষটি এ যাবৎ ভারী ভারী এবং গুরুত্বপূর্ণ ২শত এর উপর গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে প্রকাশিত গ্রন্থ ১শতটিরও উপরে, বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অন্তত ১০০টি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় কাজ চলছে।
যা তিনি এক সঙ্গেই দিতে চান এবং কারণ বর্ণনায় ব্যাপার আছে অনেক বলে জানান তিনি। তিনি ৪ হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। তবে শুধু সৈয়দা রাশিদা বারীই নয়, এ যাবতকালে বেশী রচনাশীল কোন গীতিকারই জীবদ্দশাশ তার নিজের রচিত সব গান প্রকাশ করতে পারেন নাই।
যারা বিপুল লেখেন তাদের পক্ষে এটা সম্ভব না। লালন, নজরুল, প্রভৃতি গীতিকারের গান, পরবর্তী পুরুষ, ভক্ত উত্তরসূরী কর্তৃক প্রকাশ করেছে, এমনকি এখনও যা অব্যাহত আছে। সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্যে ও সংস্কৃতির উপরে সংবর্ধনা, সম্মাননা, পুরষ্কার, ক্রেস্ট, উত্তরীয়, মেডেল, মানপত্র, শুভেচ্ছা শ্রদ্ধা ও প্রশংসাপত্র প্রভৃতি পেয়েছেন, স্থানীয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ৯০টি। তবে উপাধী পেয়েছেন প্রায় ২৬টি।
ভারতরত্নসহ ৬টি উপাধী তিনি ভারত হেেত পেয়েছেন। বাংলাদেশের হিন্দ্র সম্প্রদায়ের সংগঠন হতে পেয়েছেন সরস্বতী মায়ের মানস কন্যাসহ আরো ৪টি সংগঠনের ৪টি উপাধি। এজন্য মিডিয়ার পক্ষ থেকে অভিনন্দন তাকে। আসলে লেগে থাকার অদম্য স্পৃহায় তাকে এ পর্যন্ত এনেছে। এটাও বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উন্নয়ন উন্নতির এক বৃহৎ-মহামূল্যবান সংযোজন। তার গর্ব যে তিনি চেয়ে এবং ধন্যা দিয়ে কখনোই কোন পুরষ্কার গ্রহণ করেন নাই।
তার সৃজনশীল কর্মকান্ডের উপর নজর বিশ্লেষণে যে সংস্থা মূলায়ন করে সম্মাননা দিয়েছে, উপাধি দিয়েছে, সেটায় মাত্র গ্রহণ করেছেন কৃতজ্ঞতা চিত্তে। তিনি বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গীতিকার। জাতীয় সচিত্র মাসিক ‘স্বপ্নের দেশ’ (ঢাকা) এর সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।
0 মন্তব্যসমূহ