আমরা যারা "দেবদাস" পড়েছিলাম, তারা কী ঐ যুগ থেকে বের হতে পেরেছি ? অনেকেই পেরেছেন। অনেকেই পারেননি, তবে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে সবকিছুর উন্নয়ন ঘটেছে। তাহলে প্রেমের উন্নয়ন ঘটলে অসুবিধা কী ? কোনো অসুবিধা নেই। তবে এ যুগের তরুণ-তরুণীদের কথা ভেবে আমার কষ্ট হয়। তারা ভালোবাসার গভীরতম পর্যায় সম্পর্কে অবগত নয়।
ভালোবাসা মানব জীবনের একটা অপরিহার্য দিক। কিন্তু সেক্স গুরুত্বপূর্ণ, তবে অপরিহার্য এটা আমি মনে করিনা। সেক্স কেবল মাত্র জৈবিক একটা বিষয় যা টাকার বিনিময়ে ক্রয় করা যায়। প্রতিদিন হাজারো পুরুষ যৌনকর্মীদের কাছে যান। জৈবিক চাহিদা পূরণ করেন, কিন্তু যৌনকর্মীদের সাথে তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে না।
আসলে দীর্ঘ ৩৫ বছর একজন মানুষকে চোখে না দেখে এবং সামান্যতম যোগাযোগ না থাকা স্বত্তেও সেই মানুষটির প্রতি গভীর ভালোবাসা বজায় রাখা সম্ভব। আর এই কারণেই "মৈত্রেয়ী দেবী" শেষ বয়সে স্বামীর সাথে "মির্চা এলিয়াদের" সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাই ভালোবাসা স্বর্গীয় এবং মনের গভীর থেকে উৎসারিত।
বিঃদ্রঃ তবে অতি বাস্তববাদীরা আমার লেখা পড়ে রেগে যেতে পারেন। রাগ করার দরকার নেই। সেক্সকে আমি অস্বীকার করছি না। তবে মানবজীবনে এর প্রয়োজন মুখ্য নয়, গৌণ। আর ভালোবাসা অপরিহার্য।
কলমে - মমতাজ খানম
0 মন্তব্যসমূহ