তার খাতাটা আমার হাতে দেয়। কবিতাটা পড়ে আমার চোখ বিষ্ফারিত হয়ে ওঠে। আমি বলি, তোর ভাইয়া লিখেছে ? সে তো পড়াশুনাই করে না। সে কীভাবে লিখবে? রুমা মুখ কালো করে বোললো, ভাইয়াতো বোললো, সে এটা লিখেছে। তোকে দেখাতে বোললো। আমি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকি।
দুদিন পর খুলনা নিউ মার্কেটে বইয়ের দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করি,এই কবিতা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কিনা? তিনি বললেন, এটাতো বিখ্যাত কবি হেলাল হাফিজের কবিতা। একথা শুনে আমার মাথা ঘুরতে থাকে। রুমার ভাই কত বড় মিথ্যেবাদী...?
তিনি আমার হাতে "হেলাল হাফিজের" কাব্যগ্রন্থ তুলে দেন। "যে জলে আগুন জ্বলে" এক নিঃশ্বাসে বইটা পড়েছিলাম।
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।
হেলাল হাফিজ খুব কম লিখেছেন। পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করার জন্য অনেক লেখার প্রয়োজন হয় না। এই একটা কবিতাই তাঁকে যুগের পর যুগ পাঠকের হৃদয়ে বাঁচিয়ে রাখবে। তাঁর অধিকাংশ কবিতার উপকরণ "যৌবন" ও "বিদ্রোহ" প্রেমে, দ্রোহে, সংগ্রামে, প্রতিবাদে তাঁর কবিতা সবার হয়ে ওঠে।
এই পৃথিবীর "প্রেম" আর সব "যুদ্ধ" শেষ করে তিনি স্থায়ী হয়েছেন কবিতার পৃথিবীতে। এই মহান কবির প্রতি আমার হৃদয়ের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
0 মন্তব্যসমূহ