সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

এক নজরে সৈয়দা রাশিদা বারী’র সংক্ষিপ্ত অবদান।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ নারী সমাজ সংস্কারের, নির্ভীক দাবীদার এই লেখক। প্রকৃতি পিপাসু, দেশ গাছ , ঘাস, মাছ, ফুল পাখির একনিষ্ঠ প্রেমিক জনও। স্বভাব চরিত্রে একজন মাটির মানুষ সৈয়দা রাশিদা বারী, এই সভাব জাত লেখক মানুষটি একজন বহুমাতৃক লেখক। তিনি ভাষা সৈনিক ও বীর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ রফিকুল ইসলামের কন্যা। মা ভাষাসংগ্রামী ও বীর সহযোগি মুক্তি যোদ্ধা সৈয়দা রোকেয়া রফিক। 

সাত্ত্বিক হৃদদিক প্রচার বিমুখ এই লেখকের রচনার পরিমাণ বিপুল। যিনি একাধারে কবি, কথাশিল্পী, সাংবাদিক ও গীতিকার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক এবং বিজ্ঞানী। মা বাবার পরিসরে ভাই-বোন সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার প্রবক্তা। নারীর ক্ষমতায়ন মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নে পুত্র-কন্যাকে আলাদা দেখেন না, বিশেষ করে মা-বাবার ঘরে প্রাপ্ত অংশ অর্থ-সম্পদ ও অধিকারের ক্ষেত্রে। হ্যাঁ আরো অধিকারের ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহ ও নবী রাসূলের সান্নিধ্য লাভ এবং বেহেশত প্রাপ্তির অংশ ছাড়তেও রাজি নন। 

যে শুধু টাকা ওয়ালারায় ইব্রাহিম (আঃ) তথা মুহাম্মদ (সাঃ) প্রতিষ্ঠিত হজ বাস্তবায়ন, যাকাত ইত্যাদি আদায় করে, আল্লাহর অনুগত সকল সুযোগ সুবিধা কিনে নেবেন। তা হতে পারে না - এটা অসম্ভব। যেহেতু আল্লাহ এক-অদ্বিতীয়। আর আল্লাহর দানের কিছুতে পারশিয়ালটিও নেই। রোদ বৃষ্টি ঝড় আলো পানি চাঁদ সূর্যর বৈচিত্রতা এবং অনন্য, মাটি গাছ-পালা পাহাড় পর্বত, নারী পুরুষের জন্য আলাদা বৈচিত্রময় নয় ইত্যাদি। 

তাহলে ঐটার ক্ষেত্রে এবং মানুষের হাতে পড়লেই সেটার ব্যতিক্রম, এটাকেও তিনি বৈষম্য মনে করেন! নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও গরীবের বন্ধু ছিলেন বটে। কাজেই পবিত্র মক্কা-মদিনা তথা মুসলমানদের প্রিয় এবং পবিত্র কাবা শরীফ -মসজিদে নববী-মসজিদুল হারাম-মসজিদুল আকসা আরো কতো জৌলুস ভালবাসার ভালোলাগার সুনীল স্পর্শ - সান্নিধ্য লাভ শুধু ধনীর জন্য হতে পারে না। এই পর্যায়ে তিনি তার মতো করে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বা পরিপূর্ণ উদাহরণ দিতে সক্ষম হয়েছেন। 

লেখকের সম্পর্কে লেখকের বড়পুত্র শিক্ষাবিদ সৈয়দ আবু রাইহান জাকারিয়া (রাজন) বলেছেন- "আমার আম্মা একজন সাহিত্য পন্ডিতই নন, একজন বড় মাপের আল্লাহর ওলি, রাসূল (সাঃ) এর অনুগত, আধ্যাত্মিক এবং সুফি-সাধক। সৈয়দা রাশিদা বারী রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ২০০টি। তবে প্রকাশিত গ্রন্থ ১০০টির উপর। বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ হওয়ার পথে কাজ চলছে। 

তিনি লিখেছেন প্রায় ৪হাজারের অধিক গান, ৫হাজারের অধিক প্রবাদ বাক্য বা নীতিকথা, ৬হাজারের অধিক ছড়া ও গদ্য কবিতা প্রবন্ধ। প্রতিবেদন, নাটক, জীবনকথা, স্মৃতিকথা, রম্য রচনা, রম্য গীতি, ভ্রমন কাহিনী, রোমাঞ্চ কাব্য ৭হাজারের অধিক। এছাড়াও রয়েছে ছোট গল্প, বড় গল্প, উপন্যাস, চুটকি বা জীবন টিকা, কৌতুক, হাইকু ও প্রহসন রচনা। 

তাছাড়াও পত্র পত্রিকার রিপোর্ট এবং নিউজ। তুলনার দিক থেকে তাকে যেমন বিদ্রোহী নজরুল, লালন, মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী (রহঃ), শেখ সাদী (রহঃ), ইমাম জাফর সাদিক, সৈয়দ আহমদ উল্লাহ, খাজা খান বাহাদুর প্রমুখজন শাহ সুফী আধ্যাত্মিক, মনীষীর সাহিত্য সাংস্কৃতিক সহ ইত্যাদির সাথে বেশ মিল লক্ষ্যনিয়। সময় আলাদা হতে পারে কিন্তু চলার গতিসহ অন্যান্য অবকাঠামোর বহুলাংশে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্য ও সাংস্কৃতির উপরে উপাধি, সংবর্ধনা, সম্মাননা, পুরুষ্কার, ক্রেস্ট, মেডেল, উত্তরীয় পেয়েছেন স্থানীয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিকসহ ৯০টিরও অধিক।

১. সাংবাদিকতায় অবদান: ১. দৈনিক আজকের সংবাদ (ঢাকা) এর বিশেষ প্রতিনিধি; ২. সাপ্তাহিক বাংলার ধারা চিত্র, (ঢাকা) এর সাহিত্য সম্পাদক; ৩. দৈনিক জনপদ (ঢাকা) এর সাবেক বিশেষ সংবাদদাতা; ৪. দৈনিক আল আমীন (ঢাকা) এর সাবেক বিভাগীয় সম্পাদক/নারী ও শিশু বিভাগের প্রধান এবং পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। ৫. দৈনিক নিরপেক্ষ (ঢাকা) এর সাবেক বিশেষ সংবাদদাতা; ৬. মাসিক ডাকপিয়ন (ঢাকা) এর চীফ রিপোর্টার- সাবেক প্রধান প্রতিবেদক এছাড়াও পূর্বে অন্যান্য দৈনিকে ছিলেন।

২.লিটিল ম্যাগাজিন ও সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনা: ১. শতাব্দীর ‘শুভেচ্ছা’ ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সন ফেব্রুয়ারি সংখ্যা, ২. কুষ্টিয়া লেখিকা সংঘের ‘রঙ্গন’ সাহিত্য পত্রিকা ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সনে ২টি সংখ্যা এবং ৩. আধুনিক সাহিত্য পরিষদের  ‘অরণি’ সাহিত্য সাময়িকী ২০০০ ও ২০০২ সনের বিজয় দিবস সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে ৪. জাতীয় সচিত্র মাসিক পত্রিকা ‘স্বপ্নের দেশ’ ২০০৭সাল হতে প্রকাশ অব্যাহত আছে। 

৩.সাংগঠনিক ক্ষেত্রে: ১. প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক: শতাব্দী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র (বৃহত্তর কুষ্টিয়া)। ২. প্রতিষ্ঠাতা প্রধান/ ভূতপূর্ব সাধারণ সম্পাদক: বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ (কুষ্টিয়া জেলা শাখা)। ৩. প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক: আধুনিক সাহিত্য পরিষদ (বৃহত্তর কুষ্টিয়া-বাংলাদেশ)। ৪. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাংলাদেশ আধুনিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা (বাংলাদেশ)। ৫. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাংলাদেশ ভাষাসৈনিক প্রজন্ম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা (বাংলাদেশ)। ৬. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: ভাবনায় বাংলাদেশ, ঢাকা (বাংলাদেশ)। ৭. প্রতিষ্ঠাতা- নির্বাহী সদস্য: ড. মযহারুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ, ঢাকা, (বাংলাদেশ)। ৮. সহ-সভাপতি: বাউল তরী শিল্পী গোষ্ঠী, (ঢাকা)। ৯. উপদেষ্টা: ‘বন্ধন’ কালচারাল ফোরাম, (ঢাকা)। ১০. উপদেষ্টা: ‘শুদ্ধচিত্র বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’, (ঢাকা)। ১১. প্রতিষ্ঠাতা/ সাধারণ সম্পাদক- আন্তর্জাতিক গাউসুল আজম সাংস্কৃতিক একাডেমী, কুষ্টিয়া-ঢাকা (বাংলাদেশ)। ১২. সাবেক সহ-সম্পাদক: বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম, ঢাকা। ১৩. বিভাগীয় সচিব: জাতীয় গীতি কবি পরিষদ, ঢাকা। ১৪. নির্বাহী সদস্য: বাংলাদেশ টেলিভিশন শিল্পী সমিতি, ঢাকা। ১৫. প্রাক্তন নির্বাহী সদস্য: জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা- ঢাকা, কেন্দ্রীয় পরিষদ ইত্যাদি। 

৪.স্থায়ী সদস্য/জীবন সদস্য/সম্মানীত জীবন সদস্য: ১. বাংলা একাডেমি (ঢাকা); ২. লালন একাডেমী (কুষ্টিয়া); ৩. জেলা শিল্পকলা একাডেমী (কুষ্টিয়া); ৪. বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট  সোসাইটি (কুষ্টিয়া শাখা); ৫. বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ (ঢাকা); ৬. ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া জেলা সমিতি (ঢাকা); ৭. কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী (কুষ্টিয়া); ৮. কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরি, কুমারখালী (কুষ্টিয়া); ৯. কবি সংসদ বাংলাদেশ (ঢাকা); ১০. বাঁশআড়া কাশিমপুর ভান্ডারিয়া দরবার শরিফ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া); ১১. আন্তর্জাতিক গাউসুল আজম সাংস্কৃতিক একাডেমী কুষ্টিয়া, ঢাকা, (বাংলাদেশ); ১২. ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্থা (ভারত-বাংলাদেশ); ১৩. ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী পরিষদ (ঢাকা-কলকাতা); ১৪. আর্ন্তজাতিক আলো আভাস সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংস্থান (ভারত); ১৫. সার্ক কালচারাল ফোরাম এবং ১৬. বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন (ভারত); ১৭. ড. এম. এ ওয়াজেদ মিঞা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ফরিদপুর, ঢাকা (বাংলাদেশ) ইত্যাদি।

৫.গানের একক অডিও/ভিসিডি সিডি: ১. কেন যে তোমাকে; ২. জনম জনম ধরে; ৩. উড়াল দিয়া যাওরে মন; ৪. ও মিষ্টি পাখি দোয়েল ৫. কাগজের ফুলদানীতে ছলনার ফুল সাজিয়ে। ৬. আমার দাওনা একটি কলম এনে; ৭. কে বলেছে তুমি নাই এই বাংলায়; ৮. মাগো তুমি আমার জন্মভূমি মা ৯. আল্লাহ তুমি আমার দোজাহানের মালিক। ১০. আমার দিলের প্রেম মোহাম্মাদ রাসূল ইত্যাদি।

৬.প্রকাশিত গ্রন্থ: কবিতা: আমার যতো কাব্য কথা (১৯৯৭); প্রতিবাদ (১৯৯৯); ভালবাসি ভালবাসি (২০০০); প্রেম দেব (২০০১); প্রতিশোধ প্রতিশোধ (২০০১); শুধু তোমাকে (২০০৩); এসো হারিয়ে যাই (২০০৩); দেখা দিও অন্তরে (২০০৩); হৃদয়ের সুরে সুরে (২০০৩); আমার গর্ব আমার দেশ (২০০৫); প্রতিজ্ঞা (২০০৫); হাত দাও হাতে নয়নে নয়ন (২০০৫); প্রতীক্ষা (২০০৫); মেঘে মেঘে বৃষ্টি (২০০৮); নিমন্ত্রণ (২০০৮); উজান স্রোতের গান (২০০৮)। উতল হাওয়া (২০১১); শীতল হাওয়া (২০১৬); উপন্যাস: মরুপথে এক নিঃসঙ্গ পথিক (১৯৯৪); ভ্রান্তির পথে (১৯৯৫); এই যে সময় (১৯৯৬); আকাশের প্রেম (২০০০); সীমার পরিণতি (২০০০); ভালোবাসা ছলনা (২০০১); নিষিদ্ধ জীবন (২০০১); মা-সন্তান (২০১৬); কলসি ভাঙা প্রেম (২০০১); প্রেমের কালি। ছোটগল্প: চাঁদ ভাঙন ও বেদনা (১৯৯২); অনুতাপ (১৯৯৯); ভালোবাসার বিসর্জন (১৯৯৯); কল্পনার রাখী (২০০১)। প্রবন্ধ—গবেষণা: মধুরাত (২০০০); ও যার আপন খবর (২০০২); কথা অমৃত (২০১৪). শিশু সাহিত্য: বাকুম বাকুম পায়রা (২০০৫); ভূঁড়ে আকবরের স্বপ্ন (২০১১); ইলিং ফিলিং (২০১১); ছড়িয়ে দিলাম (২০০০); দাদুর আসরে নজরুল (২০০০); রূপাপরী (২০০৩); ছোটদের বাউল কবি লালন শাহ্ (২০০৩); ছোটদের কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন (২০০৩); ছোটদের গল্পে গল্পে আলাউদ্দিন আহমেদ (২০০৪); ছড়া: এবার পড়া পাখির ছড়া (পাখি সিরিজ-২০০৭); শত পাখির শত গান পাখির গানে দেশের মান (পাখি সিরিজ-২০০৮); হাজার পাখির হাজার গান—পাখিতে আছে দেশের টান (পাখি সিরিজ-২০০৮); নানা পাখির নানা গান পাখির মধ্যেই দেশের প্রাণ (২০০৮); ফুল চিনে পড়া করি মিলে মিশে খেলা করি (২০১০); ফল চিনে ছবি আঁকি ছন্দতালে ছড়া শিখি(২০১০); পশু ও জীব জানোয়ার চিনান মামা আনোয়ার (২০১০); শাক সবজির গুণাগুণ ভালভাবে সবাই জানুন (২০১৩); ছড়ায় ছড়ায় ফল চিনি (২০১৩); ছড়ায় ছড়ায় ফুল চিনি (২০১৩); ছড়ায় ছড়ায় পাখি চিনি (২০১৪); টুনটুনিরা গাছে ঠুট্টুমণি নাচে (২০১৯)। ছোটদের/শিশুতোষ গ্রন্থ: বর্ণমালা—অ আ ক খ (কিন্ডার গার্টেনে পাঠ্য—২০০৬); ঋরৎংঃ ষবধৎহরহম -অ ই ঈ (কিন্ডার গার্টেনে পাঠ্য—২০০৬); বাংলা পড়া (কিন্ডার গার্টেনে পাঠ্য—২০০৭);  ছোট্ট সোনামণিদের - অ আ ক খ  (২০১৫); ছোট্র সোনামণিদের ছড়াপড়া (২০১৫); জানা-অজানা (২০১৫); এসো কম্পিউটার শিখি-২ (২০১৫); এসো কম্পিউটার শিখি-৩ (২০১৫); কচি কাঁচার বাংলা পড়া (২০১৬); এসো কম্পিউটার শিখি-৪ (২০১৯); চিত্রকলা: মজার খেলা ছবি আঁকা—০ (কিন্ডার গার্টেনে পাঠ্য-২০০৭); মজার খেলা ছবি আঁকা—২ (কিন্ডার গার্টেনে পাঠ্য-২০০৭) মজার খেলা ছবি আঁকা-৩ (২০১৬); পদ্মকুঁড়ি বাংলা ব্যকরণ ও নির্মিত (২০১৮); বর্ণ পরিচয় ও ছড়া (২০২০); স্মৃতিকথা: এ আমার অহংকার (২০০৫)। সম্পাদনা গ্রন্থ: প্রথম ছড়া পড়া-১; প্রথম ছড়া পড়া-২ (কিন্ডার গার্টেনে পাঠ্য-২০০৭);  কবিতায় আলাউদ্দিন আহমেদ (২০০৯); স্বরলিপি সুরপা (গান- ২০১৩); যদি সুস্থ থাকতে চান (২০১৫); সুস্থ শরীর সুন্দর মন (২০১৫); একই সুতায় বাঁধা (২০১৪); ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত: চৌকসনূর (২০১৭); ১৬ ডিসেম্বর ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প (২০১৭); ভাষাসৈনিক প্রজেক্ট (২০১৮); বাংলাভাষা ও বাংলাদেশ (২০১৮); বাংলার মুখ বাঙালির সুখ (২০২০) ইত্যাদি। 

৭.প্রাপ্ত উপাধি: ১. কাব্যশ্রী, ২. কাব্যরত্ন, ৩.কবিরত্ন, ৪. বাংলাদেশরত্ন, ৫. ভারতরত্ন, ৬. সাহিত্যরত্ন, ৭. সাহিত্য পদ্মভূষণ, ৮. সাহিত্য বিষারদ, ৯. সাহিত্য সাগর, ১০. সাহিত্য রানী, ১১. রাধা রাণী দেবী, ১২.সাহিত্য স্বরসতী, ১৩. সাহিত্য বিদ্যা বিনোদন, ১৪. সাহিত্যেশ্বর, ১৫. সরস্বতীর মানস কন্যা, ১৬. সরস্বতী মায়ের মানস কন্যা, ১৭. মা সরস্বতীর মানস কন্যা, ১৮. বঙ্গেশ্বর, ১৯. ভাষা সৈনিক কন্যা, ২০. সব্যসাচী লেখক, ২১. ভাষা বিজ্ঞান, ২২. রাবেয়া বসরী (রহঃ), ২৩. সামস তাবরিজি (রহঃ) ২৪. শেখ সাদী (রহঃ), ২৫. মাওলানা জালালউদ্দিন রুমী (রহঃ) ২৬. জীবন্ত কিংবদন্তী। 

৮.অন্যান্য প্রাপ্ত সম্মাননা/পুরস্কারের মধ্যে: ১. বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম (ঢাকা) বেগম রোকেয়া পদক; ২. বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ (ঢাকা) সাহিত্য সংবর্ধনা; ৩. বাংলাদেশ কবিতা সংসদ (পাবনা) বাংলা সাহিত্য পদক; ৪. সুললনা স্বাধীনতা পদক (রাজশাহী); ৫. নোঙর সাহিত্য পুরষ্কার  (ঈশ্বরদী); ৬. আরশী নগর বাউল সংঘ (রাজবাড়ী) সাহিত্য পুরস্কার; ৭. কুষ্টিয়া উন্নয়ন পরিষদ এর স্বর্ণপদক ও নাগরিক সংবর্ধনা; ৮. জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (ঢাকা); ৯. মুক্তি খেলাঘর আসর- জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন (ঢাকা); ১০. সাপ্তাহিক বিচিত্র সংবাদ পত্রিকার সাহিত্য সম্মাননা (ঢাকা); ১১. জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি (ঢাকা); ১২. বাউল তরী সাংস্কৃতিক পরিষদ, উত্তরা, (ঢাকা) উত্তরীয়, মেডেল, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। ১৩. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাহিত্য পুরস্কার (সিরাজগঞ্জ); ১৪. কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য পুরস্কার (কুয়াকাটা, পটুয়াখালী); ১৫. কবি জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক, কবি জসীমউদ্দীন পরিষদ (ফরিদপুর) ১৬. কবি বে-নজীর আহমদ (ঢাকা) ১৭. কবি আজিজুর রহমান স্বর্ণপদক; কবি আজিজুর রহমান পরিষদ, (কুষ্টিয়া-ঢাকা) ১৮. নবযুগ সাহিত্য সংঘ সংবর্ধনা ও সম্মাননা (মধুপুর); ১৯. ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (ঢাকা); ২০. আন্তর্জাতিক গাউসুল আজম সাংস্কৃতিক একাডেমী কুষ্টিয়া, ঢাকা (বালাদেশ); ২১. শব্দের সন্ধানে আন্তর্জাতিক পত্রিকা (কলকাতা); ২২. অক্ষর প্রকাশনী (পশ্চিমবঙ্গ) ২৩. পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য মঞ্চ (হাওড়া বাগনান); ২৪. দৈনিক দুরন্ত বাংলা ইউটিউব মিডিয়া এন্ড; ২৫. প্রোডাকশন হাউস সৃষ্টি টিভি (ভারত) বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কার;  তাছাড়াও ভারত থেকে ২৬. আন্তর্জাতিক আলো আভাষ; ২৭. আন্তর্জাতিক বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন এর আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার, ২৮. ‘এবং বাউল’ পত্রিকা ও ২৯. ‘কুশুমে ফেরা’ সংস্থার যৌথ উদ্দ্যোগে দেওয়া নেতাজি সুবাস স্মৃতি পুরস্কার লাভসহ ভারতেরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০টি সংবর্ধনা ও সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক ভারত রত্নসহ ৬টি উপাধি পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ৪টি সংগঠন কর্তৃক ও ৪টি উপাধীতে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক ৫টি উপাধি পেয়েছেন। 

সৈয়দা রাশিদা বারী’র সাহিত্য কবিতা চর্চা, গান, সংবাদ পরিবেশন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রয়েছে। একজন মায়ের জাতি মানুষ হিসেবে সেকাল থেকে একাল- আজ অবধি সাহিত্য চর্চায় নিজেকে সম্পৃক্ত বা আবদ্ধ রেখেছেন যা সহজসাধ্য নয়। 

সাহিত্য প্রণেতা সৈয়দা রাশিদা বারী আজ আমাদের অতি কাছের। নিঃসন্দেহে তিনি সকল পর্যায়ের মানুষের অহংকার ও গর্ব। এদেশের জাতী ধর্ম দল মত নির্বিশেষে সবার দাবী, সময়েরও চাহিদা তাকে যেন জীবদ্দশায় তার এ মহত কর্মের স্বীকৃতি মর্যাদা- সরকারী সবগুলো সম্মাননা তার হাতেই তুলে দেওয়া দরকার। তার চেতনা জ্ঞানে তার প্রাপ্তী তাকেই যেন বুঝিয়ে দেওয়া হয়। 

এই ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। তার যোগ্যতা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের কাছে এলাকাবাসী তথা আমাদের সকলের দাবি, পত্রিকার পক্ষ থেকেও দাবি, তাকে যেন সাহিত্যের উপরে বাংলাদেশের  সবগুলো জাতীয় সম্মাননা দেয়া হয়, জীবদ্দশায় সুস্থ অবস্থায়। কবি সৈয়দা রাশিদা বারী আমাদের বাংলাদেশের গর্ব এবং ঐতিহ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ