রফি উদ্দিন মারুফ
==============================
তোমার আগমন ভগ্ন মনোরথের তরীতে
দুঃসহ দুঃস্বপ্ন নিয়ে সময়ের ফেরি করে ,
ঝংকার বিহনে দুর্বিনীত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে,
জীর্ণতা জর্জরিত মিষ্টি রোদ্দুরে আসীন হয়ে।
কুয়াশার মলিন মসলিন সুতায় মণ্ডিত
সবুজের মানচিত্র এঁকেছে যেনো
ধুসর পূর্ণিমার ঝলসানো চাঁদের দেহে,
সহস্র স্বপ্ন নিয়ে
শতাব্দীর আশার সমাধি পেরিয়ে
নতুন জীবনের রঙচটা আবিরের খোলসে
বিবর্ন বিবর্তনে রক্তাক্ত রাজপথ লেপ্টে।
মধ্য গগনে মাঝরাতে একি আর্তনাদ!
আতসবাজির আলো বেয়ে
তোমার আগমন অজানা শুভেচ্ছার
তিমির আঁধারে।
ক্ষুধার্ত অবয়বে বুভুক্ষুর উদর জ্বলা মহাকাব্য
নিয়ে তিনি আসেন প্রতিটি বছর!
এবার না-কি ব্যতিক্রমী আয়োজন!
জরাজীর্ণ ধরনীর টালমাটাল যুদ্ধাংদেহী
বিমূর্ত বিবরের ছায়াহীন পথে
মর্গ ভাগারে অতৃপ্ত আত্মার অভিমান,
কবরস্থানে মরদেহে সাময়িক বিরতি!
অতৃপ্ত আত্মার মিছিলের গর্জনে
কেঁপে উঠা স্বর্গ নরক!
ধর্ষিতা সমাজের মৌন মেলায়
প্রেতাত্মার সম্মিলিত নৃত্য তান্ডব!
এসব ছেড়ে সুজলার কান্ডারি হয়ে
যদি আসতে চাও
তাহলে এসো আমার
খোলা মুখি দখিনা বাতায়নে,
এসে দোল খেয়ে নিজেকে উজালা করো
প্রজাপতির উর্বর পালকে।
নয়তো এসোনা যেনো মম দ্বারে
হে আগন্তুক তুমি নতুন বছরের নাম ধরে।
তোমাকে বরণ করিতে শত সহস্র হাত
মঙ্গল দ্বীপ জ্বেলে অপেক্ষায় আছে,
তোমাকে স্মরিতে নবান্ন হতে
চিনিগুড়া চাল দিয়ে পায়েস করেছে বঁধু,
তোমাকে বরন করিতে
খেজুরের রসের পিঠা করছে সখিনার মা,
তোমাকে বরিতে শীতের গায়ে
প্রজাপতির রঙের সুতার
নকশী কাঁথা বানিয়েছেন
তেমাথার বাড়ির তিন বোন
দিদিমনি আপুমনি আর ছায়ামনি।
অতীত সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ থেকে
বেরিয়ে এসে নতুন করে
এক নতুন পৃথিবী গড়বে বলে
তোমার চরণে মোদের বরণ ডালা অর্ঘ্য হানিবে।
0 মন্তব্যসমূহ