সৈয়দা রাশিদা বারী
================================
শিক্ষার্থীদের বুঝতে ভালো লাগে।
সমন্বয়কদের জানতে ভালো লাগে।
উপদেষ্টাদের মানতে ভালো লাগে।
তাদের দৃঢ় প্রত্যয়ে চলছে এখন দেশ
রংপুরের আবু সাঈদের রক্তে ভেজা ২০২৪ এর নতুন বাংলাদেশ।
জুন জুলাই এর গণঅভ্যুত্থানে
উত্তরায় বুলেট বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা মুগ্ধর বাংলাদেশ।
এখন দেশে সবাই আছে সুখে বেশ।খুশির জোয়ারে তাদের রক্তের রেশ।
এই আবেশে গান লিখেছেন রাশিদা
নেচে নেচে গাইলেন আহা নাসিমা।
প্রবন্ধ গল্প কবিতা লিখলেন কতো,
সমন্বয়করাই এসুখ এনেছেন বটে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতন
পতন আনতে গিয়েছে কতই জীবন!
দেশ থেকে সরিয়েছে স্বৈরাশাসন।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের,
ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির,
ব্রাক ইউনিভার্সিটির ছাত্র সমন্বয়ক,
এই তিনজনও দিয়ে দিলো অকাতরে প্রাণ!
হাসিনার ১৭ বছরের দুর্নীতির ঋণ!
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ও নাগরিক কমিটির সমন্বয়কদের,
কিভাবে দিই সেই ব্যথার দান?
আমার ও জনগণের পক্ষ থেকে তাদের শুভকামনা, রইলো অনেক অনেক অভিনন্দন।
নাহিদ, সারজিস, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, অন্যতম নারী সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম,
রইলো তোমাদের জন্যও ভালোবাসা
স্নেহশীষ শুভেচ্ছা শুভকামনা ও
হৃদয় নিংড়ানো অভিনন্দন।
এখন থেকে এই বাংলাদেশ ভালো রাখার দায়িত্ব তোমাদের।
তোমরায় তাই ভালো রাখবে, বাঁচিয়ে রাখবে এদেশকে।
যুগে যুগে শাসন শোষণ করেছে, সেই ভিনদেশী চক্রান্তকারীদের নজর এবং হাত থেকে রক্ষা করবে।
এই দেশ তো তোমাদের!
এই দেশ তো ধনী গরিব ফকির মিসকিন, ধর্ম বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের সবার!
শত আউলিয়ার ওলির বাংলাদেশ,
মেজর জিয়ার বাংলাদেশ।
খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ।
জীবনানন্দ দাশ, কায়কোবাদ, নজরুল ইসলামের বাংলাদেশ।
রবীন্দ্রনাথ, কামিনী রায়,
বেগম রোকেয়ার বাংলাদেশ।
লাখো সাধক সুফির বাংলাদেশ।
মা ফাতেমার বাংলাদেশ।
রাবেয়া বশরীর বাংলাদেশ।
শহীদ আবু সাঈদের বাংলাদেশ।
সকল মানুষের সমান অধিকারের হৃদয়ের টুকরা, মাথার তাজ,
চোখের মনি, প্রাণের প্রাণ,
সবার প্রেমের প্রেম বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ- ২০২৪ এর নতুন বাংলাদেশ।
0 মন্তব্যসমূহ